
কয়েক সপ্তাহ কমার পর স্বাভাবিকতায় ফিরেছে ফাইজার-বায়োএনটেক ও মডার্নার ভ্যাকসিন সরবরাহ। কানাডার জনস্বাস্থ্য এজেন্সির কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
কানাডার ভ্যাকসিন বিতরণ কর্মসূচির প্রধান মেজর জেনারেল ড্যানি ফর্টিন বলেন, এ সপ্তাহেই ফাইজারের ৪ লাখ ৩৬ হাজার ৫০ ডোজ ভ্যাকসিন কানাডায় আসছে। ডিসেম্বরে সরবরাহ শুরু হওয়ার পর এটাই হবে একদিনে সর্বোচ্চ সরবরাহ।
তিনি বলেন, মার্চ শেষে দুই কোম্পানির ৬০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন সরবরাহের যে কথা ছিল তা পুরণ করার পথে রয়েছে তারা। এর মধ্যে ফাইজার সরবরাহ করবে ৪০ লাখ ও মডার্না ২০ লাখ ডোজ।
ভ্যাকসিনেশনের নতুন সময়সীমা প্রকাশ করেছে কানাডার জনস্বাস্থ্য বিভাগ। তাতে এখন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আগের প্রাক্কলনের চেয়ে বেশি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্য ধরা হয়েছে।
ফর্টিন বলেন, ভ্যাকসিনের সরবরাহ সংকট থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে শুরু করেছি। বসন্ত ও গ্রীষ্মে পর্যাপ্ত পরিমাণ সরবরাহ পাওয়া যাবে। এর ফলে প্রদেশগুলোতে ভ্যাকসিনেশনের গতি লক্ষণীয় মাত্রায় বাড়াতে পারব।
ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচির ধীর গতির কারণে বিরোধীদল ও সমালোচকদের নজিরবিহীন চাপের মুখে পড়তে হয় ফেডারেল সরকারকে। জানুয়ারিতে সরবরাহ কমিয়ে দেয় ফাইজার। সাম্প্রতিক সপ্তাহে সরবরাহ কমিয়েছে মডার্নাও। সরবরাহ সংকটের কারণে অন্যান্য দেশের তুলনায় ভ্যাকসিনেশনে পিছিয়ে পড়ে কানাডা।
শনিবার পর্যন্ত প্রথম ডোজের ভ্যাকসিন পেয়েছেন কানাডার মাত্র ২ দশমিক ৭ শতাংশ নাগরিক। তবে আগামী সপ্তাহেই ৪ লাখ ৭৫ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন সরবরাহের পরিকল্পনা করছে ফাইজার। এর পরের মাসে সরবরাহ করবে ৪ লাখ ৪৪ হাজার ৬০০ ডোজ।
আরেক কোম্পানি মডার্না এখন পর্যন্ত কানাডায় ৫ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন সরবরাহ করেছে। আগামী সপ্তাহে তারা ১ লাখ ৬৮ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মার্চের মধ্যেই যাতে মডার্নার কাছ থেকে ১৩ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন পাওয়া যায় সেজন্য কোম্পানিটির সঙ্গে আলোচনা করছে কানাডা। দুই চালানে সেটি আসবে বলে জানান ফর্টিন।
তিনি বলেন, যেসব অঞ্চল এরই মধ্যে ৩২ দশমিক ৯ শতাংশ প্রাপ্ত বয়স্ক নাগরিককে ভ্যাকসিনেশনের আওতায় এনেছে, মডার্নার পরবর্তী দুই চালান এলে মার্চের মধ্যেই তারা ৭৫ শতাংশ নাগরিককে ভ্যাকসিন দিতে সক্ষম হবে।