টরন্টোর স্পিড ক্যামেরোগুলো নতুন এলাকায় সরিয়ে নেওয়া হয় নভেম্বরে। ফলাফল যা পাওয়া গেছে তা বিস্ময়কর। ২০২০ সালের ডিসেম্বরেই গতি সীমা লঙ্ঘনের কারণে স্পিড ক্যামেরাগুলো টিকিট ইস্যু করেছে ২২ হাজার ১৮০টি। সংখ্যাটি নভেম্বরের চেয়ে কয়েক হাজার বেশি এবং আগস্টের প্রায় সমান।
একটি ক্যামেরা বসানো হয়েছিল ইটোবিকোক লেকশোরের এলিজাবেথ স্ট্রিটের নিকটবর্তী স্ট্যানলি এভিনিউয়ে। ক্যামেরাটি গতিসীমা লঙ্ঘনকারী ২ হাজার ৮৮৮ জন চালককে সনাক্ত করেছে। এতে বিস্ময় প্রকাশ করে টরন্টো মেয়র জন টরি বলেন, একটা স্থানেই ২ হাজার ৮০০ এর বেশি টিকিট! সমগ্র টরন্টোতে যত সংখ্যক টিকিট ইস্যু করা হয়েছে তার ১৩ শতাংশই ইটোবিকোকের ওই একটা সড়কে। গত মাসে একজন চালকই পেয়েছেন ১৫টি টিকিট। তারা কি ভাবছে ও কি করছে সেটা ভেবে আমি হতবাক।
১৫টি টিকিট পাওয়া এই চালক সবগুলো টিকিটই পেয়েছেন হয় স্ট্যানলি এভিনিউ অথবা স্টেশন রোডের পশ্চিমে মিেিকা এভিনিউয়ে। স্পিড ক্যামেরাগুলোতে এক মাসে একাধিকবার গতিসীমা লঙ্ঘনকারি ২ হাজার ৫৭টি যানবাহন সনাক্ত হয়েছে। গতিসীমা লঙ্ঘনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সর্বোচ্চ ঘটনা সনাক্তকারী দুটি ক্যামেরাই স্থাপন করা হয় স্কারবোরোতে। বে মিলস বুলভার্ডের বার্চমাউন্ট রোড নর্থের ক্যামেরায় এ ধরনের ঘটনা ধরা পড়েছে ১ হাজার ৮৩৬টি। এছাড়া কেনহ্যাচ বুলভার্ডের নিকটবর্তী ম্যাককাউয়ান রোডে গতিসীমা লঙ্ঘনের ঘটনা ধরা পড়েছে ১ হাজার ৭৬১টি। এর মধ্যে একজনকে ৭১৮ ডলার জরিমানাও করা হয়েছে।
নির্ধারিত সীমার চেয়ে ঘণ্টায় ১ থেকে ১৯ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চালালে প্রতি ঘণ্টায় ৫ ডলার করে জরিমানা গুণতে হয়। বেঁধে দেওয়া সীমার চেয়ে গতি ২০ থেকে ২৯ কিলোমিটার বেশি হলে জরিমানা গুনতে হয় ঘণ্টায় প্রতি কিলোমিটারের জন্য সাড়ে ৭ ডলার। তবে কেউ যদি নির্ধারিত গতির চেয়ে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ২৯ কিলোমিটার বেশি গতিতে গাড়ি চালান সেক্ষেত্রে জরিমানা গুণতে হয় প্রতি কিলোমিটার গতির জন্য ১২ ডলার। এর সঙ্গে সারচার্জ ও আদালতের খরচ বাবদ আরও ১৩০ ডলার যোগ হয়।
জন টরি বলেন, ক্যামেরার কাজ হলো যানবাহনের বিপজ্জনক গতি বন্ধ করা। সিটির জন্য রাজস্ব জোগান দেওয়া এর উদ্দেশ্য নয়। সত্যি কথা বলতে, প্রতি মাসে টিকিটের সংখ্যা কমলেই আমি বেশি খুশি হব।
যদিও ২০২০ সালের পরিচালন বাজেটেই বলা হয়েছিল, স্পিড ক্যামেরা থেকে প্রতি বছর প্রায় ২ কোটি ৭০ লাখ ডলার আয় হবে।