শরনার্থীদের আঘাত করে ও খাটো করে তাদের উদ্দেশে এমন প্রশ্ন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ শুনানি থেকেও তাদেরকে বঞ্চিত করা হয়েছে বলে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড রিফিউজি বোর্ড অব কানাডার (আইআরবি) এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আইআরবির অ্যাডজুডিকেটর গত দুই বছরে আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধর্ষণের শিকার দাবি করা এক নারী শরনার্থীকে প্রশ্ন করার সময় অ্যাডজুডিকেটর অসংবেদনশীল ছিলেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। অ্যাডজুডিকেটর তাকে জিজ্ঞেস করেন, আপনি নিশ্চিত যে আপনি ধর্ষিত? আপনার সন্তানের বাবা কে আপনি কি তা জানেন?
ধর্ষিত হওয়ার পর কেন ওই নারী দীর্ঘ সময় কাউন্সেলিংয়ের অধীনে ছিলেন সে প্রশ্নও তাকে করা হয় বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। কেনই বা তিনি এতো বেশি সংখ্যক কাউন্সেলরের কাছে গিয়েছিলেন সে প্রশ্নও শুনতে হয় তাকে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যাডজুডিকেটর যথেষ্ট সংবেদনশীলতার সঙ্গে অভিযোগকারীর মর্যাদা অক্ষুণœ রেখেও প্রশ্নগুলো করতে পারতেন। মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তৃতীয় যে প্রশ্নটি করা হয়েছে তার মধ্য দিয়ে অভিযোগকারীর ট্রমার বিষয়টি খাটো করতে চাওয়া হয়েছে। অ্যাডজুডিকেটরের মধ্যে শৃঙ্খলাবোধের অভাব থাকার কারণ তদন্ত শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার নিয়োগও শেষ হয়ে যাওয়া। তবে ঠিক কী কারণে অ্যাডজুডিকেটর চাকরি ছেড়েছেন সেটা উল্লেখ করা হয়নি প্রতিবেদনে।
অ্যাডজুডিকেটর বোর্ড ছাড়ার পর আইআরবির চেয়ারপারসন রিচার্ড ওয়েং প্রতিবেদনে উঠে আসা অভিযোগের বিষয়ে মতামত চেয়ে তাকে চিঠি লিখেছিলেন। তবে আইআরবি অ্যাডজুডিকেটরদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এটাই প্রথম নয়। ২০১৮ সালেও দুই অ্যাডজুডিকেটরের সেক্সিস্ট ও আগ্রাসী আচরণের বিষয়টি গ্লোবাল নিউজের অনুসন্ধানি প্রতিবেদনে উঠে এসেছিল। তাদের মধ্যে একজন আবার সেক্স ট্রাফিকিংয়ের শিকার এক ভুক্তভোগীর রঙিন নগ্ন ছবি দেখতে চেয়েছিলেন।
আইআরবির প্রতিবেদনে অভিযুক্ত অ্যাডজুডিকেটর এজন্য তার অন্তর থেকে ক্ষমা চেয়ে বিবৃতি জমা দিয়েছেন। তবে অভিযোগকারী ক্ষমা করতে রাজি নন।