ফ্লোরিডায় একটি কনডো ভবন ধসের পর কানাডার তিনটি পরিবারের চারজনের ভাগ্যে কি ঘটেছে তা জানা যায়নি। সরকারিভাবে নিহতের সংখ্যা ৯ জনে উন্নীত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ফেডারেল সরকারের তরফ থেকে রোববার এ কথা জানানো হয়েছে।
গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডা এর আগে বলেছিল, কানাডার যে চারজন এ দুর্ঘটার শিকার হয়েছেন তারা দুটি পরিবারের। পরবর্তীতে সেটি সংশোধন করা হয়। কানাডিয়ানদের ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক তথ্য দিতেও শুরুতে অস্বীকার করে বিভাগটি। তবে এখন বলছে, ভবনটি ধসের একদিন পরও যে ১৫০ জন নিখোঁজ, কানাডিয়ানরাও রয়েছেন তাদের মধ্যে। তবে চার কানাডিয়ান সম্পর্কে যেসব তথ্য এসেছে তা খুবই প্রাথমিক বলেও মন্তব্য করেছে তারা।
মায়ামির উত্তরে ধসে যাওয়া ১২ তলা ভবনটিতে উদ্ধার কার্যক্রম চলার মধ্যেই কানাডিয়ানদের ব্যাপারে এই খবর এলো। কর্তৃপক্ষ ও স্বজনদের আশঙ্কা, নিহতের সংখ্যা আরও অনেক বাড়বে।
মায়ামি-ডেড মেয়র ড্যানিয়েলা লিভাইন কাভা সকালের ব্রিফিংয়ে বলেন, ধ্বংসস্তুপ থেকে আরও চারটি মরদেহ আমরা বের করে আনতে সক্ষম হয়েছি। আজ আহত একজন হাসপাতালে মারা গেছেন। আমরা মোট আটজনকে উদ্ধার করেছি।
মায়ামি-ডেড দমকল বিভাগের প্রধান অ্যালান কমিনস্কি বলেন, অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান আমরা অব্যাহত রেখেছি এবং অভিযান শেষ করার কোনো ইচ্ছা আমাদের নেই। উদ্ধারকর্মীরা ব্যাপকভিত্তিতে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন। তবে প্রক্রিয়াটি ধীর গতির।
ধ্বংস্তুপের নিচে তল্লাশি অভিযানে কুকুর, ক্যামেরা ও সোনার ব্যবহার করা হচ্ছে। ধ্বংসাবশেষের মধ্যে সুড়ঙ্গ খুড়ে নতুন করে যেসব মরদেহ পাওয়া গেছে। সুড়ঙ্গটি ১২ মিটার গভীর, ৬ মিটার প্রস্থ ও ৩৮ মিটার দীর্ঘ। উদ্ধার কার্যক্রমে মেক্সিকো ও ইসরায়েল থেকেও উদ্ধারকারী দল আনা হয়েছে।