স্টে-অ্যাট-হোম আদেশ বাস্তবায়নে পুলিশকে দেওয়া ক্ষমতা কমিয়ে আনল ফোর্ড সরকার। সরকারের ঘোষিত এ আদেশ বাস্তবায়নে পুলিশকে সর্বাত্মক ক্ষমতা দেওয়া হলেও সমালোচনার মুখে তা থেকে সরে এসে এখন কেউ কোনো অনুষ্ঠানে বা সামাজিক জমায়েতে গেলে কেবল তার তথ্যই নিতে পারবে পুলিশ। গত শনিবার এ পরিবর্তনের কথা ঘোষণা করে সরকার।
এ ব্যাপারে সলিসিটর জেনারেলের কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কোনো পুলিশ কর্মকর্তা যদি সন্দেহ করে যে আপনি পাবলিক ইভেন্ট বা সামাজিক জমায়েতে অংশ নিতে যাচ্ছেন, সেক্ষেত্রে বিধিনিষেধ মেনে চলার বিষয়ে আপনার কাছে জানতে চাইতে পারবেন তারা। এক্ষেত্রে পুলিশকে দেওয়া প্রত্যেকের তথ্য যৌক্তিক হতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারের অগ্রাধিকার কেবলমাত্র স্টে-অ্যাট-হোম আদেশ লঙ্ঘন না করতে মানুষকে উৎসাহিত করা।
কোভিড-১৯ সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ থামাতে গত শুক্রবার নতুন বিধিনিষেধ জারি করে অন্টারিও সরকার। এ বিধিনিষেধ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবেই বাড়ির বাইরে আসা ব্যক্তি ও যানবাহনকে থামানো এবং কারণ জানতে চাওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয় পুলিশকে। যদিও প্রদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ পুলিশ সার্ভিসই বলেছে ব্যক্তি ও যানবাহনকে যথেচ্ছভাবে থামানো এবং তাদের ঠিকানা ও বের হওয়ার কারণ জানতে চাওয়ার ইচ্ছা তাদের নেই।
শনিবার সকালে পিল রিজিয়নাল পুলিশও এক টুইটে যথেচ্ছভাবে তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ করতে চায় না বলে জানায়। পুলিশের ক্ষমতায়ন নিয়ে কমিউনিটির মধ্যে সৃষ্টি হওয়া উদ্বেগের বিষয়টি উল্লেখ করে পিল রিজিয়নাল পুলিশের প্রধান নিশান দুরাইপ্পাহ বলেন, পুলিশ কোনো ব্যক্তি বা যানবাহন থামাবে না। অন্টারিওর ব্র্যাম্পটনের মেয়র প্যাট্রিক ব্রাউন নতুন নীতিকে পুলিশ বাহিনীর অপচয় বলে মন্তব্য করেন। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও পদক্ষেপটি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
ফোর্ড সরকার পুলিশ আদেশে সংশোধনী আনার আগে কানাডিয়ান সিভিল লিবার্টিজ অ্যাসোসিয়েশন নীতিমালাটির বিরোধিতা করে আদালতে যাওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিল। এজন্য তারা অনীল কাপুর নামে একজন আইনজীবীকে নিয়োগও দিয়েছিল। সেই সঙ্গে তাদের দাবি, পুলিশকে ক্ষমতা দেওয়াটা চার্টার অব রাইটস অ্যান্ড ফ্রিডমের চারটি অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন।