গ্রেটার টরন্টো এরিয়াতে (জিটিএ) একটি মাদক চোরাচালান চক্রের তদন্তের অংশ হিসেবে সাতজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে টরন্টো পুলিশ। পাশাপাশি টরন্টো পুলিশ সার্ভিসের ইতিহাসে সর্বোচ্চ পরিমাণ ক্রিস্টাল মেথামফেটামিন ও গুড়া কোকেন জব্দের কথাও জানিয়েছে তারা।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রজেক্ট ফিনিটো নামে তদন্তের অংশ হিসেবে ৫৫১ কিলোগ্রাম কোকেন ও ৪৪১ কিলোগ্রাম ক্রিস্টাল মেথামফেটামিন জব্দ করা হয়েছে। জিটিএতে বড় ধরনের মাদক আমদানি ও বিতরণের ঘটনা তদন্তে সাড়ে তিন মাস ধরে তদন্তটি পরিচালনা করা হয়।
১৭ নভেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে টরন্টো পুলিশ জানায়, জব্দকৃত মাদকের বাজারমূল্য ৯ কোটি ডলার।
অর্গানাইজড ক্রাইম ইনফোর্সমেন্ট ইউনিটের সুপারিন্টেন্ডেন্ট স্টিভ ওয়াটস বলেন, জব্দকৃত মাদকের গন্তব্য ছিল টরন্টোর রাস্তা ও আরও দূরে এবং এটা আমাদের কমিউনিটির উল্লেখযোগ্য ক্ষতি করতে পারত। এই মাদকের প্রবাহ বন্ধ করে দেওয়ার ফলে ওভারডোজ থেকে অনেকগুলো প্রাণ রক্ষা পেয়েছে।
সদন্তে আরও যেসব সামগ্রী জব্দ করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে একটি আগ্নেয়াস্ত্র, একটি গাড়ি এবং ৯৫ হাজার ডলার কানাডিয়ান মুদ্রা।
ওয়াটস বলেন, মূলত স্থল সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এই মাদক কানাডায় প্রবেশ করেছে। মাদক চোরাচালানের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা সবাই জিটিএর বাসিন্দা এবং তারা মাদক চোরাচালান নেটওয়ার্কে তারা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ ঘটনায় আজাক্সের বাসিন্দা ২০ বছর বয়সী ক্যামরন লঙ্গমোর এবং ২৫ বছর বয়সী জুবাইউল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। লঙ্গম্যানের বিরুদ্ধে দুই কাউন্ট মাদক পাচার, পাচারের জন্য মাদক রাখা অপরাধ সংঘটের ষড়যন্ত্র এবং বিপজ্জনকভাবে গাড়ি চালানোর তিন কাউন্ট অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। হকের বিরুদ্ধে পাচারের উদ্দেশে মাদক নিজের কাছে রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে। অনুমোদিত আগ্নেয়াস্ত্র রাখার এক কাউন্ট অভিযোগও তার বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে।
ইটোবিকোকের বাসিন্দা ৩৭ বছর বয়সী ব্রায়ান শেরিট ও ৩০ বছর বয়সী আবুবকর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে পাচারের উদ্দেশে মাদক রাখা এবং বিচারযোগ্য অপরাধ সংঘটের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে। মিসিসোগার বাসিন্দা ২৫ বছর বয়সী তেনজিস পালডেনের বিরুদ্ধে পাচারের উদ্দেশে মাদক রাখা এবং বিচারযোগ্য অপরাধ সংঘটের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এই ঘটনায় টরন্টোর দুই বাসিন্দা ৩৪ বছর বয়সী বশির হাসান আব্দি এবং ৪৩ বছর বয়সী লুচো লডারকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ওয়াটস বলেন, গ্রেপ্তার দুই সন্দেহভাজনকে হেফাজতে রাখা হয়েছে। বাকি পাঁচজনকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।