অর্থনৈতিক শ্লথতার চিহ্ন ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে। সামনের সপ্তাহে কানাডিয়ান ব্যাংকগুলোর আয়ের যে চিত্র সামনে আসবে তাতে এটা আরও বেশি দৃশ্যমান হবে। কানাডার বড় চারটি ব্যাংক তাদের চতুর্থ প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করতে যাচ্ছে। সেখানে আয় কমে যাওয়া, খারাপ ঋণের বিপরীতে অনেক বেশি অর্থ সঞ্চিতি হিসেবে রাখা এবং মর্টগেজের ওপর বাড়তি চাপের মতো বিষয়গুলো থাকবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এমন সময় আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হচ্ছে যখন গত সাত মাস ধরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি প্রায় স্থির অবস্থায় রয়েছে। ব্যাংক অব কানাডা নীতি সুদহার বাড়িয়ে ৫ শতাংশে উন্নীত করার পর প্রবৃদ্ধির চাকা থেমে গেছে। ঋণের ব্যয় বেড়ে যাওয়া এবং ব্যাংকগুলোর বাড়তি সতর্কতা ঋণ প্রবৃদ্ধির গতিও কমিয়ে দিয়েছে।
বিডিও ক্যাপিটাল অ্যাডভাইজরি সার্ভিসেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শিল্পা মিশ্র বলেন, ব্যাংকিং শিল্পের এই মুহূর্তের প্রবণতা হচ্ছে সব কানাডিয়ান বাজারে ঋণ বিতরণ কমে যাওয়া।
তৃতীয় প্রান্তিকে ঋণ বিতরণে যে প্রবৃদ্ধি ছিল তা এক বছর আগের আগের তুলনায় অর্ধেক। এ ছাড়া দ্বিতীয় প্রান্তিকের তুলনায়ও তৃতীয় প্রান্তিকে ঋণ প্রবৃদ্ধি কমেছিল বলে জানান শিল্পা মিশ্র।
ব্যাংকগুলো যে কেবল ঋণ বিতরণই গতি কমিয়েছে তা নয়, মন্দ ঋণে পরিণত হতে পারে বা এরই মধ্যে হয়ে গেছে এমন ঋণের বিপরীতে আগের চেয়ে বেশি অর্থ সঞ্চিতি হিসেবেও রাখছে ব্যাংকগুলো। উচ্চ সুদের হার ঋণগ্রহীতাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করায় ঋণ মন্দ হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।
শিল্পা মিশ্র বলেন, অনিশ্চিত পরিবেশের মধ্যে কানাডিয়ান ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে আমরা মিশ্র ফলাফল আশা করছি। প্রাথমিকভাবে সঞ্চিতির কারণেই এমনটা হতে যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, স্কশিয়াব্যাংক ২৮ নভেম্বর এবং সিআইবিসি, টিডি ব্যাংক ও আরবিসি ৩০ নভেম্বর তাদের চতুর্থ প্রান্তিকের আর্থিক ফলাফল প্রকাশ করবে। ন্যাশনাল ব্যাংক তাদের আর্থিক ফলাফল প্রকাশ করবে ১ ডিসেম্বর।