সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে ফেডারেল অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড নতুন ভাড়া বাড়ি নির্মাণে অতিরিক্ত দুই হাজার কোটি ডলার অর্থায়নের ঘোষণা দেন
কানাডার বিপুল সংখ্যক বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত, অতিরিক্ত মানুষে ঠাসা অথবা বসবাসকারীদের জন্য অনেক বেশি ব্যয়বহুল। সম্প্রতি প্রকাশিত শুমারির প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে।
বুধবার প্রকাশিত উপাত্তে স্ট্যাটিস্টিকস কানাডা কানাডিয়ান বাড়ির অবস্থা বোঝাতে একাধিক নির্দেশ প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে আছে বাসযোগ্যতা, পর্যাপ্ততা এবং সাশ্রয়। সবগুলো সমস্যায় কানাডিয়ান বাড়ির সাধারণ বিষয় বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। প্রত্যেকটি দশ লাখের বেশি বাসিন্দা ভুগছে। এ হার প্রান্তিক কমিউনিটিগুলোর মধ্যে অত্যধিক বেশি।
২০২১ সালের কানাডিয়ান শুমারির তথ্য অনুযায়ী, বাসিন্দারা থাকেন এমন প্রতি ছয়টির মধ্যে একটি বাড়ি সাশ্রয়ী নয়। ভাড়া থাকেন এমন বাড়ির ক্ষেত্রে এ হার প্রতি তিনটিতে একটি।
শুমারির সময় ভাড়া বাড়িগুলোর মেরামতের প্রয়োজন ছিল বেশি। ওই সময় ৭ দশমিক ৩ শতাংশ ভাড়া বাড়ি এবং ৫ দশমিক ৩ শতাংশ নিজস্ব বাড়ি সংস্কারের প্রয়োজন ছিল।
সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে ফেডারেল অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড নতুন ভাড়া বাড়ি নির্মাণে অতিরিক্ত দুই হাজার কোটি ডলার অর্থায়নের ঘোষণা দেন। সেই সঙ্গে কানাডা মর্টগেজ বন্ড ৪ হাজার কোটি ডলার থেকে বাড়িয়ে ৬ হাজার কোটি ডলারে উন্নীত করারও ঘোষণা দেন তিনি।
ফ্রিল্যান্ড এক বিবৃতিতে এই ঘোষণাকে সরকারের অধিক সংখ্যক বাড়ি নির্মাণের পরিকল্পনায় সর্বশেষ পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেন। কানাডাজুড়ে কানাডিয়ানদের জন্য আবাসন সাশ্রয়ী করার উদ্যোগের অংশ এটি।
শুমারিতে অংশ নেওয়া ৯ দশমিক ৭ শতাংশ কানাডিয়ান এমন সব বাড়িতে থাকেন যেখানে শয়নকক্ষের সংখ্যা খুবই কম। তবে গাদাগাদি করে থাকার অভিজ্ঞতা নবাগতদের মধ্যে তুলনামূলক বেশি। ২০১৬ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে যারা কানাডায় অভিবাসী হয়েছেন তাদের ২৮ দশমিক ৬ শতাংশ গাদাগাদি করে থাকেন। তাদের প্রতি তিনজনের মধ্যে একজনের স্থায়ী বসবাসের মর্যাদা নেই।