জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বৈশ্বিক প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারে তরুণদের কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে কানাডা নেতৃত্ব দিতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন সেভ দ্য চিলড্রেনের গ্লোবাল অ্যাডভোকেট রোটিমি ডিয়োসায়া। তবে এজন্য অটোয়ার প্রতি সহায়তা হ্রাস না করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
অটোয়া সফরকালে তিনি বলেন, বিশ্বিকে ভিন্নভাবে নেতৃত্বদান, তরুণদের ভবিষ্যতের আশা খুঁজে পেতে সহায়তা করার মতো অবস্থানে রয়েছে কানাডা। লিঙ্গ ও মানবাধিকারকে অগ্রাধিকার দেওয়া নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে কানাডা।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আলোচনার জন্য বৈশি^ক নেতারা সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে জাতিসংঘে সমবেত হন। এসব লক্ষ্যের মধ্যে রয়েছে লিঙ্গ সমতা, চরম দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং প্রত্যেক শিশুর জন্য মানসম্মত সেকেন্ডারি শিক্ষা নিশ্চিত করা। লক্ষ্যে ২০৩০ সালের মধ্যে ১৪০টি অভীষ্ট অর্জনের কথা বলা হয়েছে। ২০১৫ সালে লক্ষ্যগুলো নির্ধারণ করা হয়।
যদিও জাতিসংঘ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত মাত্র ১৫ শতাংশ অভীষ্ট অর্জিত হয়েছে। বাকি সাত বছরে লক্ষ্য অর্জনে গতি আনার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে ১৯৩টি দেশ।
দিয়োসায়া বলেন, আমরা সঠিক পথে নেই। আমাদের নেতার প্রয়োজন। আমাদের অঙ্গীকারের প্রয়োজন। কানাডার ফেমিনিস্ট ইন্টারন্যাশনাল এইড পলিসি লিঙ্গ সমতা গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণের ক্ষেত্রে অন্য দেশগুলোকে উৎসাহিত করতে পারে। তাছাড়া উন্নয়নশীল দেশগুলো গ্রুপগুলোকে ক্ষমতায়িত করতে কীভাবে প্রকল্প অর্থায়নে সংস্কার আনতে পারে সে ব্যাপারে কানাডা অন্যদের উদ্বুদ্ধ করতে পারে। তবে কানাডা যে প্রতিশ্রুতি ও সময়সীমা দিয়েছে তা উন্নয়নশীল দেশগুলোর চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার সহায়ক হচ্ছে।
এবারের বসন্তকালীন বাজেটে লিবারেল সরকার ড্রপ-ইন ফান্ডিংয়ের জন্য বরাদ্দ রেখেছে ১৩০ কোটি ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ১৫ শতাংশ কম।