মাশুল পরিশোধের জন্য চালকরা ক্রমেই মোবাইল অ্যাপের দিকে ঝুঁকতে থাকায় রাস্তায় ২ হাজার ৭০০ পার্কিং মিটার রাখা কতটা যুক্তিযক্ত হবে তা পর্যালোচনা করে দেখছে সিটি অব টরন্টো। এক প্রতিবেদনে পরিবহন সেবার সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মীরা ডাউনটাউনে এক বছরের জন্য কেবলমাত্র মোবাইল অনলি জোনের পরীক্ষামূলক প্রস্তাব করেছেন। এই ব্যবস্থায় রাস্তায় গাড়ি পার্কিংয়ের ফি পরিশোধ করা হবে গ্রিন পি অ্যাপ, টেক্সট-টু-পে অথবা কিউআর কোডের মাধ্যমে।
এ সংক্রান্ত কমিটির সভাপতি ডেপুটি মেয়র জেনিফার ম্যাকেলভি সিটিভি নিউজ টরন্টোকে শুক্রবার বলেন, মাশুল পরিশোধের জন্য আপনাদের গাড়ি বের করে ¯েœাব্যাংকের ওপরে উঠে আবার ফিরে এসে গাড়ি রাখতে হবে না। আপনার যদি দেরি হয়ে যাচ্ছে বলে মনে হয় তাহলে হেঁটে গিয়ে মাশুল পরিশোধ করতে পারবেন।
টরন্টো পার্কিং অথরিটি ২০১৬ সালে মোবাইল গ্রিন পি অ্যাপ চালু করে এবং সে সময় মোট মাশুলের অর্ধেকও এই পদ্ধতিতে পরিশোধ হয়নি। এখন ৭৫ শতাংশ গ্রাহক এই অ্যাপের মাধ্যমে মাশুল পরিশোধ করছেন। ২০২৫ সাল নাগাদ এই হার ৮৫ শতাংশে উন্নীত হবে বলে মনে করছেন কর্মীরা। এ কারণে রাস্তায় স্থাপিত বেশ কিছু পিঅ্যান্ডডি পার্কিং মেশিন থেকে পর্যাপ্ত রাজস্ব আসছে না, যা দিয়ে মূলধনী ও পরিচালন ব্যয় নির্বাহ করা যায়। প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে।
এ অবস্থায় কর্মীরা ডাউনটাউনে ১৩টি মোবাইল অনলি জোনের প্রস্তাব করেছেন। এমন সব জায়গায় এই জোন প্রস্তাব করা হয়েছে যেগুলোতে মোবাইল অ্যাপের ব্যবহার বেশি, মেশিনপ্রতি পার্কিং স্টল কম এবং মিটারগুলো অনেক বেশি পুরোনো হয়ে গেছে।
কাউন্সিলর জশ ম্যাটলো বলেন, আমরা এমন এক যুগে প্রবেশ করছি যেখানে স্মার্টওয়াচের মাধ্যমে ভাড়া পরিশোধ করেই আমরা সাবওয়ের মধ্য দিয়ে হেঁটে যেতে পারি। আমরা কীভাবে ব্যবস্থার আধুনিকায়নের পাশাপাশি প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে পারি সে ব্যাপারে সার্বক্ষণিক পর্যালোচনা থাকা দরকার বলে আমি মনে করি।