নাইজেরিয়া কর্তৃপক্ষের নিপীড়ণ থেকে রক্ষায় এক বছর আগে কানাডায় পালিয়ে আসেন ফেমি বিওবাকু। আসার সময় তাকে দেশে তার স্ত্রী, দুই সন্তান, কমিউনিটি ও অ্যাকাউন্ট্যান্টের চাকরি ফেলে আসতে হয়েছে।
তিনি অটোয়ায় নামেন ২০২২ সালের জুলাইয়ে এবং অটোয়া মিশন হোমলেস শেল্টারের একটি ডরমিটরিতে ওঠার আগে একটি পরিবারের সঙ্গে এক মাস ছিলেন। কিন্তু শেল্টারে পরিস্থিতি আরও খারাপ মনে হচ্ছে। বিওবাকু বলছিলেন, এটা ভয়ঙ্কর। আমি যেখানে ছিলাম সেখানে সেখানে আমার ওপর আক্রমণ চালানো হয়েছিল। নাইজেরিয়া ছেড়ে আসার পর একটি শেল্টারে এক মাস অবস্থান করাটা ছিল একই ট্রমার দ্বিতীয়বার শিকার হওয়া। এক পর্যায়ে তিনি আত্মহত্যা করার কথাও ভেবেছিলেন।
শরণার্থীদের সাময়িক থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য তিনি অটোয়ার অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ম্যাথিউ হাউজকে ধন্যবাদ দেনে। তারাই তার জীবন বাঁচিয়েছে। তিনি বলেন, প্রথম যেদিন আমি ম্যাথিউ হাউজে যাই, সেই রাতেই মনে হয়েছিল আমি বোধহয় নাইজেরিয়াতে আমার বাড়ি ফিরে এসেছি। খাদ্য ও আশ্রয় দেওয়ার পাশাপাশি ম্যাথিউ হাউজ কানাডায় আমাকের জীবন ফিরিয়ে দিয়েছে। থেরাপির পাশাপাশি অন্যান্য সহায়ক সেবাও তারা দিয়েছে।
ওয়ার্ক পারমিট পাওয়ার পর বিওবাকু ম্যাথিউ হাউজের ফার্নিচার ব্যাংকে চাকরিও পেয়েছেন। কর্মসূচিটির আওতায় অটোয়ায় নবাগত ও নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোকে তাদের বাড়ি সাজাতে সহায়তা করা হয়।
২০২২ সালে আশ্রয় চেয়ে কানাডায় পালিয়ে এসেছেন যে ৯২ হাজার মানুষ, বিওবাকু তাদের একজন। এরপর থেকে আরও ৭০ হাজার মানুষ পালিয়ে কানাডায় এসেছে বলে ই¤্রগিশেন, রিফিউজিস অ্যান্ড সিটিজেনশিপ কানাডার তথ্যে উঠে এসেছে।