মহাকাশে আবার ফিরে যাবেন কিনা জিজ্ঞেস করুন মার্ক গার্নোকে। এক মুহূর্ত বিলম্ব না করেই উত্তর দেবেন তিনি। সদ্য অবসরে যাওয়া সাবেক অ্যাস্ট্রোনট ও কুইবেকের এমপি মাত্র তিন সপ্তাহ আগে হাউস অব কমন্সে তার আসন ছেড়ে দেবেন কিনা স্টো একটা বিষয়।
গার্নো বলেছেন, একটা বয়সে এসেও তরুণদের মতো সক্ষমতা থাকার বিষয়টি দারুণ। ১৯৮৪ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত মোট তিনবার তিনটি স্পেস শাটল মিশনের গেছেন গার্নো। তিনি বলেন, তিনবার উড়তে পারায় আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি।
কারা নভোচারী হবেন সোমবারই তা জানা যাবে। নাসা এবং কানাডিয়ান স্পেস এজেন্সি তিনজন মার্কিন ও একজন কানাডিয়ান নভোচারীর নাম ঘোষণা করবে। তারা চাঁদে দীর্ঘ অবস্থানের চিহ্ন এঁকে দেবেন। ২০২৪ সালের নভেম্বরের গোড়ার দিকে আরটেমিস-২ এর চন্দ্রাভিযানে যাবে। ১৯৭২ সালে অ্যাপোলোর সর্বশেষ মিশনের পর এটাই চন্দ্রাভিযানের প্রথম ঘটনা। এ ছাড়া এই প্রথম কোনো কানাডিয়ান এই অভিযানে যাচ্ছেন।
কানাডার নভোচারী দলে বর্তমানে চারজন রয়েছেন। এর মধ্যে অ্যাস্ট্রোফিজিসিস্ট ও মন্ট্রিয়লের চিকিৎসক ডেভিড সেইন্ট-জ্যাকের আগেও মহাকাশে যাওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে। ৫৩ বছর বয়সী সেইন্ট-জ্যাক ২০১৮ সালে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন থেকে মহাকাশ অভিযানে গিয়েছিলেন। ২০০৯ সালে ৪৭ বছর বয়সী অন্টারিওর লন্ডনের জেরেমি হ্যানসেনের সঙ্গে নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৭ সালে যোগ দেন পরীক্ষামূলক পাইলট ও এয়ার ফোর্সের লেফটেন্যান্ট কর্নেল ৪১ বছর বয়সী জোসুয়া কাট্রিক ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ও ক্যাম্ব্রিজ ইউনিভার্সিটির লেকচারার ক্যালগেরির বাসিন্দা ৩৪ বছর বয়সী জেনিফার সিডে।
গার্নো বলেন, আমি ঈর্ষান্বিত নই। আমরা কানাডাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি এটা ভেবেই আমি উত্তেজিত।
এটা ১৯৬৯ সালের বিশাল উল্লম্ফন নয়। কিন্তু তার কাছাকাছি। সঠিকভাবে বললে ৭ হাজার ৪০০ কিলোমিটার দূরে।