
গত বছরের শুরুর দিকে ট্রাকচালকদের বাধ্যতামূলক ভ্যাকসিন বিষয়ে ঘোষণার কাজটি সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা না করে খারাপ পরিস্থিতিতে আরও গুরুতর করে তোলে কানাডা বর্ডার সার্ভিসেস এজেন্সি। মহামারি নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ ও ভুয়া তথ্যের মধ্যেই এই ভুলটি তারা করে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি পল রোলো।
শুক্রবার প্রকাশিত ২ হাজার পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে এজেন্সির এই ভুলের বিষয়টি তুলে ধরেন তিনি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডাউনটাউন অটোয়ার ফ্রিডম কনভয় মোকাবিলায় ফেডারেল লিবারেল সরকারের জরুরি আইন ফিরিয়ে আনার মধ্যে দোষের কিছু নেই।
পল রোলো তার প্রতিবেদনে লিখেছেন, ফ্রিডম কনভয় বিক্ষোভের জন্য জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিধিনিষেধই একমাত্র কারণ নয়। কিন্তু অবশ্যই সেটা গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় ছিল।
কী এমন বিষয় ছিল যা হাজারো বিক্ষোভকারীকে পার্লামেন্ট হিলের চারপাশের রাস্তায় অবস্থান নেওয়ার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের বেশ কিছু সীমান্ত অবরোধে উৎসাহ জুগিয়েছিল, সেটা খুঁজে বের করা ছিল রোলোর অন্যতম কাজ। তার এই বক্তব্যের ভিত্তি ছিল গত হেমন্তে পাবলিক অর্ডার ইমার্জেন্সি কমিশনের শুনানির সময় প্রমাণ হিসেবে দাখিল করা হাজার হাজার নথি ও কয়েক শ ঘণ্টার সাক্ষ্য। রোলোর চূড়ান্ত প্রতিবেদন বলছে, যদিও তদন্ত সরকারের কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনাকে লক্ষ্য করে ছিল না, তারপরও কর্মকর্তাদের কিছু বার্তা কানাডিয়ানদের দ্বিধায় ফেলে দিয়েছিল।
তবে একটা বিষয়টি আলাদা করে তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনে। তা হলো ২০২২ সালের জানুয়ারিতে বর্ডার সার্ভিসেস এজেন্সির একটি বিবৃতি। তাতে বলা হয়, সীমান্ত অতিক্রম করার পর ভ্যাকসিন গ্রহণকারী কানাডিয়ান ট্রাকচালকদের কোয়ারেন্টিনের প্রয়োজন নেই। কিন্তু পরের দিনই এই বক্তব্য বদলে ফেলা হয়।
রোলো তার প্রতিবেদনে লিখেছেন, তাহলে ভ্যাকসিন না নেওয়া ট্রাক চালকরা সীমান্ত অতিক্রম করলে তাদের ক্ষেত্রে কী হবে? সরকারের এই অস্পষ্ট বার্তা নতুন সীমান্ত বিধি নিয়ে যে নেতিবাচক মনোভাব তাকে আরও উস্কে দেয়। বাণিজ্যিক ট্রাকচালকদের ভাবমূর্তী শক্তিশালী প্রতীক। এটা এই বার্তা পৌঁছে দেয় যে, কোভিড-১৯ সংক্রান্ত বিধিনিষেধ প্রতিদিনই কানাডিয়ানদের জীবনকে ওলোটপালোট করে দিচ্ছে। ফ্রিডয় কনভয় শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে এই বয়ান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।