নগরীর ২০২১ সালের বাজেটে কমিউনিটি কর্মসূচিতে অতিরিক্ত ৮০ লাখ ডলার ব্যয়ের প্রস্তাব করেছেন টরন্টো মেয়র জন টরি। কোভিড-১৯ মহামারিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোয় এ অর্থ ব্যয় করা হবে।
এ অর্থের বড় অংশ অর্থাৎ ৩০ লাখ ডলার ব্যয় করা হবে ৪০০ তরুণকে কাজের সুযোগ ও প্রশিক্ষণ বাবদ। এছাড়া ২০ লাখ ডলার ব্যয় করা হবে কমিউনিটি অংশীদারদের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে। আর ২০ লাখ ডলার বরাদ্দ দেওয়া হবে টরন্টো কমিউনিটি হাউজিং বিল্ডিংগুলোর ইন্টারনেট পরিষেবা বাবদ। নগরীর কানেক্ট টু ইনিশিয়েটিভের আওতায় এ অর্থ ব্যয় হবে। আর বাকি যে ১০ লাখ ডলার তা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সহায়তায় বরাদ্দ রাখা হবে। ব্যবসায়িক কর্মকা- পুনরায় চালু করার সময় বিপণন প্রচারণায় এ অর্থ ব্যয় করতে পারবেন তারা।
সিটি হলে গত ১১ ফেব্রুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে জন টরি বলেন, আমি বিশ^াস করি আসন্ন এই বিনিয়োগ কোভিড-১৯ মহামারির বিরুদ্ধে যুদ্ধে পার্থক্য গড়ে দেবে। অত্যাবশ্যকীয় কর্মীদের আধিক্যের কারণে নগরীর বেশি সংক্রমিত এলাকাগুলোর জন্য যে কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে সেজন্য আমি সত্যিই গর্বিত।
টরন্টোর জন্য ২০২১ সালের যে বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে তাতে ৯০ কোটি ডলার ঘাটতি রয়েছে। টরি বলেন, মহামারিজনিত ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অন্য স্তরের সরকারগুলো টরন্টোর সহায়তায় এগিয়ে আসবে বলে এখন পর্যন্ত আমি আশাবাদী। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার খুবই ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। ফেডারেল সরকারের অন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গেও এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং তাদের কাছ থেকে সহায়তার ব্যাপারে আমাকে আশাবাদী করে তুলেছে।
এ বছরের বাজেটে ২২০ কোটি ডলার ঘাটতি থাকবে বলে এর আগে জানিয়েছিলেন নগর কর্মকর্তারা। তবে ইউনিন-বহির্ভূক্ত কর্মীদের বেতন আটকে রাখাসহ আরও কিছু পদক্ষেপের মাধ্যমে তা ৫৭ কোটি ৩০ লাখ ডলার কমানো সম্ভব হয়েছে। এছাড়া সেফ রিস্টার্ট অর্থায়নের আওতায় ৭৪ কোটি ডলারের সংস্থান এরই মধ্যে হয়ে গেছে। এর বাইরে অন্যান্য সরকারের কাছ থেকে ২০২১ সালে ৮৫ কোটি ৬০ লাখ ডলার পাওয়ার আশা করছে টরন্টো সিটি কর্তৃপক্ষ।