
ভিডিও গেম খেলা শিশুদের জন্য ভয়াবহ হতে পারে। এতে হৃদপিন্ডের অবস্থা খারাপ হতে পারে বলে সম্প্রতি হার্ট রিদম জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। ইলেক্ট্রনিক গেমিংয়ের সঙ্গে ভয়াবহ কার্ডিয়াক অ্যারিদমিয়ার সম্পর্ক উঠে এসেছে প্রতিবেদনে। কল অব ডিউটির মতো একই ধরনের ওয়্যার গেমের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে এক্ষেত্রে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খেলাটি বাস্তব না হতে পারে। কিন্তু খেলোয়াড়ের মধ্যে যে উত্তেজনা ও ¯œায়ুগত চাপ তৈরি হয় সেটি বাস্তব এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা হার্ট অ্যাটাকের কারণ হতে পারে। সতর্ক সংকেত হিসেবে শিশু মুর্ছা যেতে পারে। কোনো শিশুর ক্ষেত্রে এমনটা দেখা দিলে তাকে একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে নেওয়া উচিত।
প্রতিবেদনের প্রধান লেখক ড. ক্লেয়ার এম ললে এক বিবৃতিতে বলেছেন, কোনো শিশু ভিডিও গেম খেলতে খেলতে সংজ্ঞা হারালে একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের অধীনে নেওয়া উচিত। কারণ, হৃদপিন্ডের গুরুতর সমস্যার এটা প্রথম ইঙ্গিত হতে পারে।
এ ধরনের গেমের সঙ্গে অ্যারিদমিক পরিস্থিতির সংযোগের ওপর জোরারোপ করে ললে বলেন, রোগীর ক্ষেত্রে এটা ভয়াবহ হতে পারে, যা আগে সেভাবে চিহ্নিত করা হয়নি।
দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, পরিবারগুলোর কাছে প্রতিযোগিতামূলক খেলা বাদ দিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি সৃষ্টিকারী ইলেক্ট্রনিক গেমিং নিরাপদ বিকল্প হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
ললে ও তার দল ২২টি ঘটনা পরীক্ষা করে দেখেছেন এবং হৃদপিন্ডের সমস্যার সঙ্গে মাল্টিপ্লেয়ার ওয়ার গেমের সম্পৃক্ততা পেয়েছেন। যেসব রোগীদের পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে তাদের বয়স ৭ থেকে ১৬ বছর এবং এদের ১৬ শতাংশ মেয়ে শিশু। চারজন রোগীর মৃত্যু হয়েছে এবং কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের পর ছয়জনকে সারিয়ে তোলা সম্ভব হয়েছে। পরবর্তীতে বেশ কিছু হার্ট রিদমিকের পরীক্ষায় দেখা গেছে, শিশুরা অব্যাহত ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
প্রতিবেদনের আরেকজন লেখক ক্রিশ্চিয়ান টার্নারও ভিডিও গেম খেলার সময় কেউ মুর্চ্ছা গেলে তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে পরীক্ষা করানোর কথা বলেছেন। এ ধরনের ঘটনা কদাচিৎ ঘটলেও এখন বাড়ছে।