ভ্যাকসিন গ্রহীতাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত এর অনাকাক্সিক্ষত পাশর্^প্রতিক্রিয়ার তথ্য পায়নি হেলথ কানাডা। হেলথ কানাডার চিফ মেডিকেল অ্যাডভাইজার ডা. সুপ্রিয়া শর্মা শুক্রবার এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ভ্যাকসিন গ্রহীতাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত তীব্র, মৃদু ও মাঝারি কোনো ধরনের পাশর্^প্রতিক্রিয়ার খবর পাওয়া যায়নি। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের সময় যেমনটা দেখা গিয়েছিল।
কানাডায় ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে আছেন ডা. সুপ্রিয়া শর্মা। তিনি বলেন, ভ্যাকসিনেশনের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা দুটি বিষয়ের ওপর নজর রাখেন। প্রথমেই তারা দেখেন ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে ঘটেনি এমন কিছু ভ্যাকসিন প্রয়োগের পর ঘটছে কিনা। দ্বিতীয়ত, তারা দেখেন ভ্যাকসিন প্রয়োগের পর পাশ^প্রতিক্রিয়াগুলো ট্রায়ালের সময় নথিবদ্ধ করা পাশর্^প্রতিক্রিয়ার চেয়ে মারাত্মক বা সংখ্যায় বেশি কিনা। এখন পর্যন্ত উভয় ক্ষেত্রেই সন্তোষজনক ফলাফল পাওয়া গেছে। এর অর্থ হলো ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ভালোমতোই হয়েছে।
ভ্যাকসিনের সাধারণ পাশর্^প্রতিক্রিয়াগুলোর মধ্যে আছে স্বল্প-মেয়াদি জ¦র, ইনজেকশনের স্থানে ব্যথা, মাথা ব্যথা ও অবসাদগ্রস্থতা। ভ্যাকসিন নেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অবশ্য এসব সমস্যা প্রশমিত হয়ে আসে।
হেলথ কানাডা গত ডিসেম্বরে দুটি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেয়। প্রথম অনুমোদন দেওয়া হয় ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন। এরপর মডর্নার ভ্যাকসিন অনুমোদন দেয় হেলথ কানাডা। ১৪ ডিসেম্বর কানাডায় ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হয় এবং এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৩০ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছে। ভ্যাকসিনগুলো পেয়েছেন সম্মুখসারির স্বাস্থ্যকর্মী, লং-টার্ম কেয়ার হোমের বাসিন্দা ও কর্মীরা। এ সপ্তাহে কিছু ফার্স্ট নেশনের পাশাপাশি উত্তরাঞ্চলে ভ্যাকসিন পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
হেলথ কানাডা অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও জনসন অ্যান্ড জনসনের ভ্যাকসিনও পর্যালোচনা করে দেখছে। অনুমোদনের জন্য পর্যাপ্ত তথ্য-উপাত্ত এখন পর্যন্ত কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে সরবরাহ করা হয়নি। এগুলো অনুমোদনের ব্যাপারে কবে নাগাদ সিদ্দান্ত নেওয়া হবে সে ব্যাপারে কিছু বলতে পারেননি সুপ্রিয়া শর্মা।
দুটি কোম্পানিই এ মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ফেজ-৩ ট্রায়াল সম্পন্ন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।