ব্যক্তিগত গাড়ির ডিলার, গ্যাস স্টেশন ও কাপড়ের দোকানের ওপর ভর করে কানাডায় খুচরা বিক্রি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তবে মহামারির তৃতীয় ঢেউ আবারও বিক্রয় কমিয়ে দিতে পারে বলে আশঙ্কা অর্থনীতিবিদদের।
স্ট্যাটিস্টিকস কানাডার উপাত্ত বলছে, ফেব্রুয়ারি খুচরা বিক্রি ৪ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে ৫ হাজার ৫১০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। তবে গ্যাস স্টেশন, মোটরগাড়ি ও যন্ত্রাংশ বাদ দিলে মাসটিতে খুচরা বিক্রির প্রবৃদ্ধি দাঁড়ায় ৩ দশমিক ৮ শতাংশ। গত তিন মাসের মধ্যে এমন ঘটনা এটাই প্রথম।
স্ট্যাটিস্টিকস কানাডার প্রতিবেদনে মার্চের খুচরা বিক্রি ২ দশমিক ৩ শতাংশ বাড়তে পারে বলে প্রাক্কলন করা হয়েছে। তবে সংখ্যাটি পরিবর্তিতও হতে পারে।
টিডি ব্যাংকের অর্থনীতিবিদ সেনিয়া বুশমেনেভা বলেন, ফেব্রুয়ারিতে কানাডায় খুচরা বিক্রি ঘুর দাঁড়িয়েছে। মার্চেও সম্ভবত এ ধারা অব্যাহত ছিল। সংক্রমণ হ্রাসে আরোপিত বিধিনিষেধ শিথিল করার কারণেই মূলত এটা সম্ভব হয়েছে। তবে খুচরা বিক্রি বৃদ্ধির এ ধারা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে কিনা তা নির্ভর করছে ভাইরাসের গতিবিধির ওপর।
ভ্যাকসিনেশর গতি বাড়ার পরও কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ হ্রাসে কানাডাজুড়ে নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। বুশমেনেভা বলেন, জনগণের চলাচল ও ব্যয়ের যে উপাত্ত তাতে এপ্রিলে খুচরা বিক্রি দুর্বল হতে পারে বলে মনে হচ্ছে। নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ ও স্টে-অ্যাট-হোম আদেশও এতে ভূমিকা রাখতে পারে।
স্ট্যাটিস্টিকস কানাডার উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, ফেব্রুয়ারিতে মোটরগাড়ি ও যন্ত্রাংশের পরিবেশকদের বিক্রি বেড়েছে ৫ শতাংশ। তবে নতুন গাড়ির ডিলারদের বিক্রি বেড়েছে আরও বেশি ৫ দশমিক ৬ শতাংশ এবং গাড়ির যন্ত্রাংশের বিক্রি বেড়েছে ৯ দশমিক ২ শতাংশ।
পোশাক ও এর উপাদান বিক্রয়কারীদের বিক্রি ২৩ দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরের পর প্রথমবারের মতো এসব পণ্যের বিক্রি বাড়ল। স্ট্যাটিস্টিকস কানাডার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারিতে পোশাকের দোকানে বিক্রি বেড়েছে ২০ দশমিক ৮, জুতার দোকানে ৪৩ দশমিক ১ এবং গহনা, লাগেজ ও চামজাত পণ্যের বিক্রি বেড়েছে ২৫ দশমিক ৪ শতাংশ। খেলার সামগ্রী, শখের দ্রব্য, বই ও গানের দোকানের বিক্রিও ফেব্রুয়ারিতে ২৩ দশমিক ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে আসবাব ও গৃহসজ্জার দোকানগুলোতে বিক্রি ১৮ শতাংশের বেশি বাড়েনি। সবমিলিয়ে পরিমাণের হিসাবে ফেব্রুয়ারিতে কানাডায় খুচরা বিক্রি বৃদ্ধি পেয়েছে ৪ দশমিক ৩ শতাংশ।