প্রদেশে ভ্যাকসিন পাসপোর্ট ব্যবস্থা চালু করাকে ঘিরে নাগরিক স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগের কথা স্বীকার করেছেন অন্টারিওর প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ড। তবে তার ভাষায়, সংক্রমণ হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার উদ্বেগটা তার চেয়েও বেশি।
নতুন ব্যবস্থায় অনেক অ-জরুরি সেবা গ্রহণ ও স্থানে যেতে হলে নাগরিকদের উভয় ডোজ নিতে হবে। ২২ সেপ্টেম্বর রাত ১২টা ১ মিনিটে ব্যবস্থাটি কার্যকর হয়েছে। এ ব্যবস্থার অধীনে অন্টারিওবাসী ইনডোর ডাইনিং অথবা জিমে যেতে চাইলে প্রাথমিকভাবে তাদেরকে ছবিযুক্ত পরিচয়পত্রের সঙ্গে দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের পর ভ্যাকসিন রশিদের কপি প্রদর্শন করতে হবে। তবে গ্রাহকরা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশের জন্য যোগ্য কিনা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো কিউআর কোড স্ক্যানের মাধ্যমে যাতে তা যাচাই করে নিতে পারে সে লক্ষ্যে ২২ অক্টোবরের মধ্যে অ্যাপ চালুর ঘোষণা দিয়েছে ফোর্ড সরকার।
নতুন ব্যবস্থাটি কার্যকর করার কয়েক ঘণ্টা আগে মঙ্গলবার সকালে এক বিবৃতিতে প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ড বলেছেন, অনেকেই এই নীতির ব্যাপারে উদ্বিগ্ন এবং আমি সেটা শুনেছি। আপনাদের নাগরিক স্বাধীনতা ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা নিয়ে আপনাদের উদ্বেগের বিষয়টি আমি বুঝতে পারি। আমার মতো উভয় ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহীতারা যখন এ ধরনের উদ্বেগ প্রকাশ করছেন তখন তার চেয়েও বড় উদ্বেগ হয়ে দেখা দিয়েছে সংক্রমণ আলবার্টা ও সাস্কেচুয়ানের মতো হঠাৎ বৃদ্ধির ফলে আরেক শাটডাউনের ঝুঁকি। এই মহামারি একটি জরুরি পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে এবং এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ার বাস্তব পরিণতি রয়েছে। মহামারির বিরুদ্ধে আমাদের কঠিন লড়াইয়ের ফলে অর্জনগুলো ধরে রাখতে যা যা করা দরকার তা করে যেতে হবে। যাতে করে ব্যবসাকে স্থিতিশীলতা দিতে পারি এবং এটা তাদের কাম্য।
ভ্যাকসিন গ্রহণ বাধ্যতামূলক না করার পক্ষে কয়েক মাস ধরেই সওয়াল করে আসছিলেন ফোর্ড ও তার বেশ কয়েকজন মন্ত্রী। তবে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণে সংক্রমণ দ্রুত বাড়তে থাকায় শেষ পর্যন্ত সেই অবস্থানে বদল এনেছে সরকার।