সাস্কেচুয়ান থেকে অন্টারিওর লন্ডনে আসা ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী কাডিন্স বলের সঙ্গে বাড়ি ভাড়া সংক্রান্ত চুক্তি শেষ মুহূর্তে বাতিল করেছেন বাড়ির মালিক। ওই শিক্ষার্থীর শরীরে আঁকা উল্কি পছন্দ না হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
১৮ বছর বয়সী বল গত বসন্তে হাইস্কুল গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করে ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে মেডিকেল সায়েন্স প্রোগ্রামে ভর্তির সুযোগ পান।
তিনি বলেন, সব সময়ই আমি একজন চিকিৎসক হতে চেয়েছি এবং মেডিকেল স্কুলে ভর্তি এখন অনেক বেশি প্রতিযোগিতাপূর্ণ। তাই ভালো কোনো ইউনিভার্সিটি থেকে ব্যাচেলর ডিগ্রি পাওয়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং ওয়েস্টার্ন কানাডার শীর্ষস্থানীয় বিশ^বিদ্যালয়গুলোর একটি।
অনলাইনে বিজ্ঞাপন দেখে অক্সফোর্ড স্ট্রিট ওয়েস্ট এবং সার্নিং রোডের একটি বাড়িতে মাসিক ৬৭৫ ডলারে একটি কক্ষ ভাড়া নেন বল। অনলাইনে স্থানটি দেখার পর বাড়ির মালিক এস্থার লির সঙ্গে তিনি কথা বললে তিনি তাকে একটি চুক্তিপত্র পাঠিয়ে দেন। বল ৫০ ডলার জমা দিয়ে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন এবং তার কার নিয়ে লন্ডনের পথে যাত্রা করেন।
১ সেপ্টেম্বর থেকে ভাড়া কার্যকর হওয়ার কয়েকদিন আগে দক্ষিণ অন্টারিওতে পৌঁছে যান তিনি। কয়েকটা দিন হোটেলে কাটিয়ে লির সঙ্গে দেখা করতে যান তিনি। প্রাথমিকভাবে সাক্ষাৎ ভালোই মনে হয়েছিল। কিন্তু হোটেলে ফিরে বল একটি ফোনকল পান। ফোনে লি বলেন, আমি আপনাকে এখানে থাকতে দিতে চাই না।
বল বলেন, বাড়ির মালিক আমাকে ফোন করে শুধু বলেন, আমি আপনাকে বাড়ি ভাড়া দেবো না। সমস্যা কি? জানতে চাইলে তিনি কেবল বলেন, আমি চাইনা আপনি এখানে থাকুন। এরপর লি বলের জামানত ফেরত দেন।
বিষয়টি নিয়ে জানতে সিবিসি নিউজ পরে লির কাছে ফোন করে চুক্তি বাতিলের কারণ জানতে চায়। জবাবে লি বলেন, বলের শরীরে উল্কি দেখে ভয়ে আমি চুক্তি বাতিল করেছি। দুজনের মধ্যে যেদিন সাক্ষাৎ হয় সে দিনটি ছিল গরম এবং বল একটি ট্যাংক টপ পরে ছিলেন। এতেই তার শরীরে আঁকা উল্কিগুলো দৃশ্যমান হয়। তার বাহুতে আঁকা ছিল সাপ, এক কাঁধে চেরাব এবং অন্য কাঁধে ফুল।
লি বলেন, তার বাহুর ৭০ শতাংশ জুড়েই উল্কি। এ কারণেই আমি তাকে বাড়ি ভাড়া দিতে রাজি হয়নি। কারণ, এটা ভয়ের।