হাই পার্ক শেষ পর্যন্ত কারমুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে সিটি অব টরন্টো। তবে এর ঠিক পূর্বদিকে একটি প্রধান সড়ক নিয়ে উদ্বেগ অব্যাহত রয়েছে। এ কারণে যত দ্রুত সম্ভব এর নকশায় পরিবর্তন আনার আহ্বান জানিয়েছে সড়ক সুরক্ষা নিয়ে কাজ করা স্থানীয় একটি গ্রুপ।
ভয়াবহ জোড়া দুর্ঘটনার পর ১৫ মাস আগে পার্কসাইড ড্রাইভে অটোমেটেড স্পিড এনফোর্সমেন্ট (এএসই) ক্যামেরা স্থাপনের পর এ নিয়ে ১৩তম বার গতিসীমা লঙ্ঘনকারী সবচেয়ে বেশি যানবাহনকে টিকিট দেওয়া হয়েছে এখানে।
সাম্প্রতিক উপাত্ত অনুযায়ী, অ্যালগনকিন এভিনিউয়ের ঠিক দক্ষিণে স্থাপিত ডিভাইসটি কেবল জুনেই টিকিট ইস্যু করেছে ২ হাজার ৬৮টি। ওই মাসে সড়কটিতে যানবাহনের সর্বোচ্চ গতি রেকর্ড করা হয় ঘণ্টায় ১২৬ কিলোমিটার, যা বেঁধে দেওয়া গতির তিনগুন। সড়কটিতে যানবাহনের সর্বোচ্চ গতিসীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার।
পার্কসাইড ড্রাইভ থেকে সিটি অব টরন্টো এসই ক্যামেরার মাধ্যমে এ পর্যন্ত জরিমানা আদায় করেছে ৩০ লাখ ডলারের বেশি। বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো চালকরা টিকিট পেয়েছেন গড়ে ১০০ ডলারের বেশি।
প্রথমে কমিয়ে আনা ও শেষ পর্যন্ত গাড়ি বন্ধ করা হাই পার্ক ব্যবহারকারীদের জন্য ভালো উদ্যোগ, বিশেষ করে ঝুঁকিপূর্ণ সড়ক ব্যবহারকারীদের কথা বিবেচেনায় নিলে। তবে তার সড়কটি নিরাপদ করতে দ্রুততার সঙ্গে যথেষ্ট কাজ করা হয়নি।
ফাতিমা ও ভালদেমার আভিলা পার্কসাইডে নিহত হওয়রা পর দুই বছর পেরিয়ে গেছে। সিটি কাউন্সিল পার্কসাইড ড্রাইভ নিয়ে গবেষণার অনুমতি দেওয়ার পর কেটে গেছে দেড় বছর।