পেশাগত অসদাচরণের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন অন্টারিওর সাবেক শিক্ষক রায়ান ইমগ্রান্ড। শিক্ষার্থীদের যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ওঠার পর তিনি দোষী সাব্যস্ত হলেন এবং এখন থেকে প্রদেশের কোনো পাবলিক স্কুলে আর পড়াতে পারবেন না। সোমবার ডিসিপ্লিনারি শুনানিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
অন্টারিও কলেজ অব টিচার্সের (ওসিটি) ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, কলেজের ডিসিপ্লিন কমিটি অথবা ফিটনেস টু প্র্যাক্টিস কমিটির প্যানেলের সিদ্ধান্তের ফল হিসেবে এই সদস্যের সনদ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এই সদস্য এখন আর কলেজের কোনো সদস্য নন।
ইমগ্রান্ডকে স্বঘোষিত বায়োস্ট্যাস্টিশিয়ান হিসেবে কোভিড-১৯ এর পুরো সময়জুড়ে প্রায়ই মন্তব্য করতে দেখা গেছে। শিক্ষার্থীদের যৌন, আবেগ ও মানসিক নির্যাতন সম্পর্কিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অসদাচারণের সম্মুখীন হন। তবে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি কোনো অভিযোগ এখনো আনা হয়নি।
তার বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগটি সামনে আসে ওসিটির একটি শুনানির নোটিশ থেকে। অভিযোগে বলা হয়, ইমগ্রান্ড চার নারী শিক্ষার্থীকে গভীর রাতে ও ভোরে বার্তা পাঠান। সেই সঙ্গে তাদেরকে একটি রিসোর্ট পুলে যেতে বলেন। ওই শিক্ষার্থীরা স্কুল টিমের হয়ে কোচিং করছিল। ওই শিক্ষার্থীরা এতে সাড়া না দিলে ইমগ্রান্ড তাদেরকে ফোন করেন বলে কলেজের পক্ষ থেকে অভিযোগ আনা হয়।
কলেজের পক্ষ থেকে আরও অভিযোগ আনা হয়, তিনি আরও একজন শিক্ষার্থীসহ ওই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যথাযথ নয় এমন ব্যক্তিগত ও ইলেক্ট্রনিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। বাথিং স্যুটে এক শিক্ষার্থীকে তিনি ছবি পাঠানোর অনুরোধের পাশাপাশি তিনি নিজের জামা না পরা একটি ছবি ওই শিক্ষার্থীকে পাঠান। একজন শিক্ষার্থী সাড়া না দিলে ইমগ্রান্ড চিৎকার করে ওঠেন।
ওইসিটির পক্ষ থেকে পেশাগত অসদাচরণের দ্বিতীয় নোটিশটি দেওয়া হয় ২০২২ সালের ডিসেম্বরে। এই নোটিশটি দেওয়া হয় ১৮ বছর বয়সী এক নারীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে। অভিযোগে বলা হয়, ২০০৫ সালে ইমগ্রান্ড ওই নারীকে নিজের চারটি নগ্ন ছবি মেসেঞ্জারের মাধ্যমে পাঠান।
২০২২ সালের ৮ জুন ইমগ্রান্ড কলেজ থেকে পদত্যাগ করেন। তার আগে তিনি ইয়র্ক ক্যাথলিক ডিস্ট্রিক্ট স্কুল বোর্ডের শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, যেসব শিক্ষক তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পর্কে প্রকাশ্যে আত্মপক্স সমর্থন করবেন না তাদের বিরুদ্ধে দৈনিক ১০ হাজার ডলার জরিমানা আরোপের হুমকি দিয়েছে ওসিটি। যদিও এর পক্ষে বাস্তবসম্মত প্রমাণ নেই।