কনজার্ভেটিভ নেতা এরিন ও’টুল
সুনামহানীর উদ্দেশে সাবেক কনজার্ভেটিভ নেতা এরিন ও’টুল চীনা হস্তক্ষেপের লক্ষ্যে ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন এই কনজার্ভেটিভ এমপি। সেই সঙ্গে দলীয় নেতা হিসেবে তার নীতির ব্যাপারে অসত্য বয়ান সৃষ্টি করাও এর একটা উদ্দেশ্য ছিল।
বৃহস্পতিবার হাউস অব কমন্সে তিনি বলেন, কানাডিয়ান সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স সার্ভিসের ব্রিফিংয়ে তার বিরুদ্ধে একাধিক কর্মকা-ের বিষয়টি উঠে এসেছে। ভুয়া তথ্য ছাড়াতে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির তহবিল জোগান, অসত্য ছড়িয়ে দিতে উইচ্যাট ব্যবহার এবং ২০২১ সালের সাধারণ নির্বাচনের সময় তাকে ভোট দেওয়া থেকে ভোটারদের দমিয়ে রাখা এর মধ্যে অন্যতম।
সাবেক কনজার্ভেটিভ নেতা বলেন, তার ও তার ককাস সদস্যদের বিরুদ্ধে এই হুমকির ব্যাপারে সরকার বা কোনো নিরাপত্তা সংস্থার তরফ থেকে তাকে জানানো হয়নি। ফেডারেল টাস্কফোর্সের মাধ্যমে কনজার্ভেটিভদের সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগও করান হয়নি, যাতে করে ২০২১ সালের নির্বাচনের নিরপেক্ষতার সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব হয়।
এরিন ও’টুল বলেন, লিবারেল সরকারের এই নিষ্ক্রিয়তা এমপি এবং বিরোধীদলের নেতা হিসেবে তার প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করার শামিল।
নিউ ডেমোক্র্যাট এমপি জেনি কুয়ান সোমবার বলেন, ২০১৯ সালের নির্বাচনের আগে থেকে হংকংয়ে মানবাধিকারের পক্ষে কথা বলায় আমিও চীনের লক্ষ্যবস্তুতে ছিলাম বলে গত সপ্তাহে সিএআইএস আমাকে জানিয়েছে। এই লক্ষ্যবস্তুর ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করার কোনো স্বাধীনতা তাকে দেওয়া হয়নি।
এদিকে ফেডারেল সরকারের নিয়োগ দেওয়া স্পেশাল র্যাপোর্টার ডেভিড জনস্টন তার অন্তবর্তী প্রতিবেদনে বলেছেন, কনজার্ভেটিভ এমপি মাইকেল চঙ্গ এবং তার পরিবারের ব্যাপারে চীন যে তথ্য সংগ্রহ করছিল সে ব্যাপারে ইঙ্গিত রয়েছে। তবে ও’টুলের দাবির ব্যাপারে তেমন একটা কিছু নেই জনস্টনের অন্তবর্তী প্রতিবেদনে। ও’টুলের দাবি, বিদেশি হস্তক্ষেপের কারণে বিশেষ বিশেষ প্রার্থী নির্বাচনে হেরে গেছেন।
This article was written by Helal Chowdhury as part of the LJI