অন্টারিওর দক্ষিণাঞ্চলের সিটি অব কিংস্টন আবাসন সংকট সমাধানে উচ্চাকাক্সিক্ষ লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এতে গোপন করার কিছু নেই যে, কিংস্টন ও সমগ্র দেশেই বাড়ির সরবরাহ কম।
এক দশকের মধ্যে নগরীতে কয়েক হাজার ইউনিট বাড়ি নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সিটি কাউন্সিল। যদিও কাউন্সিলে সর্বসম্মতভাবে এটি অনুমোদন পায়নি। মঙ্গলবার রাতে অনুষ্ঠিত কাউন্সিলের বৈঠকে সিটি কর্তৃপক্ষ আবাসন সংকট সমাধানে উচ্চাভিলাষি লক্ষ্য নির্ধারণ করে। এর অংশ হিসেবে ২০৩১ সালের মধ্যে ৮ হাজার আবাসিক ইউনিট নির্মাণের অঙ্গীকার করা হয়।
অন্টারিওর ‘মোর হোমস বিল্ট ফাস্টার’ আইন ২৯টি মিউনিসিপালিটির সামনে আবাসনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য এক দশকেরও কম সময় বেঁধে দিয়েছে। কিংস্টনের মেয়র ব্রায়ান প্যাটারসন বলেন, সিটি যেদিকে যেতে চায় সেটা নিশ্চিত করতেই মূলত আবাসনের এই প্রতিশ্রুতি।
কাউন্সিলের সভায় ১০-২ ভোটে প্রস্তাবটি পাশ হয়েছে। বিরোধী দুজন প্রাদেশিক নির্দেশিকা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। এই প্রতিশ্রুতির বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন কাউন্সিলর ব্র্যান্ডন টোজো। তিনি বলেন, তারা যদি এরই মধ্যে আমাদেরকে কিছু করতে বলে থাকে তাহলে এরই মধ্যে আমরা তা করছি। তাহলে কেন তারা আমাদেরকে ওয়াদা করতে বলছে। এর কোনো প্রয়োজন নেই।
প্রদেশজুড়ে আবাসন নির্মাণ খাতে শ্রমিক সংকট সত্ত্বেও স্থানীয় লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদী মেয়র। তিনি বলেন, যদিও সিটি একা এটা করতে পারবে না। সিটি হিসেবে আমার প্রস্তুত। কিন্তু অবশ্যই আমাদের বেসরকারি ও অলাভজনক ডেভেলপার এবং উঁচু স্তরের সরকারের কাছ থেকে জমি ও তহবিল প্রয়োজন।
মেয়র অবশ্য বলেছেন, আমি মনে করি আমাদের লক্ষ্য ধরে রাখা উচিত এবং লোকজনকে কিংস্টনে ধরে রাখতে যা যা প্রয়োজন তা যাতে আমরা করি সেটা নিশ্চিত করা। আমরা সুন্দর পার্ক করতে পারি। শহরের জন্য ভালো সুযোগ-সুবিধা তৈরি করতে পারি। লোকজন যাতে সাশ্রয়ে অ্যাপার্টমেন্ট ও বাড়ি পায় সেটাও আমরা নিশ্চিত করতে পারি।