নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে অন্টারিও সরকার নীল রঙের নতুন লাইসেন্স প্লেট ইস্যু বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিল তিন বছর আগে। যদিও ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্তও রাস্তায় ছিল নীল রঙের ১ লাখ ৭০ হাজার লাইসেন্স প্লেট।
‘আ প্লেস টু গ্রো’ প্লেট প্রথম চালু করা হয় ২০১৯ সালে। সরকারের দাবি, এর যে ডিজাইন তা সবকিছুর আগে জনগণকে স্থান দেওয়ার ব্যাপারে সরকারের যে প্রতিশ্রুতির প্রতিফল। কর্মকর্তারা বলছেন, এটি অনেক বেশি টেকসই এবং ভালো সরকার কি তার প্রতিনিধিত্বকারী
।
কিন্তু এগুলোর চালুর পরপরই নতুন লাইসেন্স প্লেট নিয়ে অভিযোগ তুলতে থাকেন জনগণ। প্রাথমিকভাবে চালকরা জানান, রাতের বেলায় এটা ঠিকভাবে পড়া যায় না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা ছবিতে দেখা যায়, নতুন লাইসেন্স প্লেট এমনভাবে আলোর প্রতিফলন ঘটায় যার ফলে এতে কী লেখা আছে তা বিস্তারিত পড়া প্রায় অসম্ভব।
প্রথমে নতুন লাইসেন্স প্লেটের পক্ষে সরকার সাফাই গাইলেও শেষ পর্যন্ত ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে এগুলো ইস্যু না করার ঘোষণা দেয়। পরের মাস থেকে এর পরিবর্তে অন্য লাইসেন্স প্লেট চালুর সিদ্ধান্তও হয়। প্রিমিয়ারের কার্যালয় থেকে ২০২০ সালের মে মাসে ইস্যু করা এক বিবৃতিতে বলা হয়, আইনশৃৃঙ্খলা বাহিনী ও অন্য অংশীজনদের সবিস্তার পরীক্ষার পর আমরা তাদের পরামর্শ গ্রহণ করছি এবং যাত্রীবাহী যানের জন্য নতুন এই লাইসেন্স প্লেট আর ইস্যু করা হবে না।
চালকদের ত্রুটিপূর্ণ এই লাইসেন্স প্লেটের পরিবর্তে স্বেচ্ছায় মূল সাদা রঙের ‘ইয়রস টু ডিসকভার’ লাইসেন্স প্লেট গ্রহণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু ত্রুটিপুর্ণ এই লাইসেন্স গ্রহণকারী অধিকাংশ চালক তা করেননি। গত বুধবার কর্মকর্তারা বলেন, এখন পর্যন্ত নীল রঙের ১ লাখ ৯৩ হাজার লাইসেন্স প্লেট ইস্যু করা হয়েছে। এর মধ্যে ১ লাখ ৭০ হাজার এখনো চালু আছে।
পাবলিক সেফটি অ্যান্ড বিজনেস সার্ভিস ডেলিভারি মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, নতুন গাড়ি নিবন্ধনের সময় চালকরা সাদা রঙের লাইসেন্স প্লেট নিচ্ছেন। যদিও পরবর্তী নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত নীল রঙের লাইসেন্স প্লেটও বৈধ থাকবে।
সাদা রঙের লাইসেন্স প্লেট গ্রহণ বাধ্যতামূলক করার কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা জানতে চাইলেও তিনি একই উত্তর দেন। বলেন, পরবর্তী নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত নীল রঙের লাইসেন্স প্লেটের বৈধতা থাকবে।