
বিশেষ একটি জাতিগোষ্ঠীর ও লিঙ্গের মানুষকে উদ্দেশ্য করে অপমানজনক মন্তব্য করায় শৃঙ্খলাভঙ্গের শাস্তির মুখে রয়েছেন টরন্টো পুলিশের একজন গোয়েন্দা। ২০২২ সালের জুনেও অসদাচরণের ঘটনায় টরন্টো পুলিশ সার্ভিসের ট্রাইব্যুনাল অব মিসকন্ডাক্টে বেশ কয়েকবার অভিযুক্ত হয়েছিলেন। অপমানজনক একাধিক মন্তব্য ও বাড়িতে সংঘটিত সহিংসতায় ভুক্তভোগীকে সহায়তা না করায় এই অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, এসব নিচু জীবকে তিনি সাহায্য করবেন না।
শুনানির নোটিশের তথ্য অনুযায়ী, এসব মন্তব্যের কিছু বডি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। নোটিশের মধ্য দিয়ে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগের কার্যক্রম শুরু হলো।
২০২২ সালের ২ জুন থেকে ২৩ জন পর্যন্ত লা ফসে এলজিবিটিকিউ২এস প্রশিক্ষণ, নির্দিষ্ট জাতির সদস্যদের সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। ওই মাসেই আরেকটি ঘটনায় এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে ৪৩ ডিভিশনে পাঠানো হয়।
শুনানির নোটিশে বলা হয়েছে, ফসে অভিযুক্ত গরীব বলে সেলফোনে ডাটা নেই বলে মন্তব্য করেন। আর ভুক্তভোগীকে বলেন, তিনি কখনোই অর্থ পাবেন না। কারণ, অভিযুক্ত গরীব মানুষ। অভিযুক্তের গায়ের রং নিয়েও মন্তব্য করেছেন ফোসে। সেই সঙ্গে আরও কিছু অপমানসূচক মন্তব্যও করেছেন তিনি।
গত ২১ জুন পারিবারিক সহিংসতার শিকার এক ব্যক্তি সহায়তা চেয়ে ৪৩ ডিভিশনে রফোন করেন। মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে হেফাজত থেকে মুক্তি দেওয়া হলেও কেন তাকে অবহিত করা হয়নি তা জানতে চান তিনি। লা ফসে ফোনে জামিনের শর্ত পড়ে শোনালেও তার অনুলিপি সরবরাহ করেননি।
নথিতে বলা হয়েছে, স্কারবোরোর একটি হত্যাকান্ডের স্থলে উপস্থিত হয়েছিলেন লা ফসে, যেখানে কর্মকর্তারা ভুক্তভোগীর প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করছিলেন। চারপাশে অনেক লোকের জমায়েত ছিল। ওই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত জনগণের সঙ্গে তার আচরণ বডি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। সেখানে তিনি উপস্থিত লোকজনকে উদ্দেশ্য করে অশোভন ও তিরস্কারমূলক মন্তব্য করেন। তার আচরণ যে পেশাদারসূলভ ছিল না ফুটেজে তা প্রমাণিত হয়েছে।
২০২২ সালের ১৫ জুন টরন্টোর তৎকালীন পুলিশ প্রধান জেমস রেমার নগরীর পুলিশ সার্ভিসের পক্ষ থেকে কৃষ্ণাঙ্গ কমিউনিটির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। সে সময় তিনি বলেন, বাহিনীর নিজস্ব উপাত্তই বলছে, কৃষ্ণাঙ্গদের ওপর পুলিশ বেশি চড়াও হয় এবং বল প্রয়োগেরও সম্মুখীন হন তারা।