বুস্টার ডোজের চাহিদা বেশি প্রাক্কলন করায় ফেব্রুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত অন্টারিওতে ৩৮ শতাংশ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নষ্ট হয়েছে। প্রদেশের নিরীক্ষক এ তথ্য জানিয়েছেন।
অডিটর জেনারেল বনি লিসিক তার বার্ষিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, সার্বিকভাবে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন অপচয়ের হার ৯ শতাংশ বা ৩৪ লাখ ডোজ। চাহিদার প্রাক্কলন ভালো হলে এর অন্তত অর্ধেক বাঁচানো যেতো।
জনস্বাস্থ্য ইউনিটভেদে অপচয়ের হারে পার্থক্য রয়েছে। ২০২১ সালের মে থেকে ২০২২ সালে মে পর্যন্ত একটি কোম্পানির সরবরাহ করা ৫৭ শতাংশ ভ্যাকসিন নষ্ট হয়েছে বলে জানান লিসিক। তবে এর কারণ জানতে পারেননি।
এর আংশিক ব্যাখ্যা দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সিলভিয়া জোন্স। বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, কোম্পানিটি পরিচালিত ক্লিনিকগুলোর একটি ছিল পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসা মৌসুমি কৃষি শ্রমিকদের জন্য। কিন্তু তাদের আগমন সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট প্রাক্কলন করা যায়নি।
তিনি বলেন, আমাদের কাজ ও ফলাফল নিয়ে আমি অবিশ্বাস্যরকম গর্বিত। অন্টারিওতে ১২ বছরের বেশি বয়সী ৮২ শতাংশ মানুষ পূর্ণাঙ্গভাবে ভ্যাকসিনেটেড হয়েছে।
পূর্ণাঙ্গ ভ্যাকসিনেটেড বলতে তিনি দুই ডোজকে বুঝিয়েছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ফার্মেসিতে হোক বা গণ ভ্যাকসিন ক্লিনিকে, কমিউনিটিতে হোক বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অথবা আমাদের স্থানীয় ফার্মেসিতেÑআমরা আমাদের কাজ সম্পন্ন করেছি। এর ফলে কমিউনিটি হিসেবে আমরা এখন সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছি।
অডিটর জেনারেল বলেন, প্রদেশের ভ্যাকসিনেশন নিয়ে যোগাযোগ সবসময় ফলদায়ক ছিল না। এটা অসংগঠিত ছিল এবং কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ও ভ্যাকসিনের সুফল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যের ঘাটতি ছিল। অর্থাৎ, অন্টারিওবাসী তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে ছিলেন।