চলতি বছর টরন্টোর বাজেট ঘাটতি পূরণে অন্টারিও সরকার আবারও সহায়তা করবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে। তবে রাজস্ব বাবদ নগরীর বিপুল পরিমাণ বাজেট ঘাটতি পূরণে ঠিক কোন পন্থায় সহায়তা করা হবে সে ব্যাপারে কোনো ইঙ্গিত প্রদেশের তরফ থেকে দেওয়া হয়নি।
বুধবার বিকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে টরন্টো মেয়র জন টরি বলেন, চলতি বছর ৭০ কোটি ৩০ লাখ ডলারের যে বাজেট ঘাটতি তার এক-তৃতীয়াংশ পূরণের ব্যাপারে প্রদেশ সম্মত হয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে এই ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে। চলতি বছর বাজেট ঘাটতি প্রাক্কলন করা হয়েছিল ৮১ কোটি ৫০ লাখ ডলার। তবে সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, তা থেকে ১১ কোটি ২০ লাখ ডলার কমবে। আমরা যা প্রত্যাশা করেছিলাম প্রদেশের প্রতিশ্রুতি তার থেকে অনেকটাই বেশি।
সম্প্রতি পাস হওয়া বিল ২৩ এর কারণে যে ঘাটতি তৈরি হবে সে ব্যাপারেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আবাসনমন্ত্রী স্টিভ ক্লার্ক। বিলে ডেভেলপারদের জন্য কিছু মাশুল বাতিল করা হয়েছে বা কমানো হয়েছে। তিনি বলেছেন, হাউজিং বিলের বিল পাসের ফলে টরন্টোর কোনো ঘাটতি হয় কিনা তা নিরূপনে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে মিউনিসিপাল ফিন্যান্স নিরীক্ষা করা হবে।
জন টরি বলেন, আমাদের বক্তব্য পরিস্কার এবং তা হলো বিল ২৩ এর ফলে কমে যাওয়া রাজস্বের প্রতিটি ডলার আসবে প্রদেশ থেকে। অর্থাৎ ডলারের পরিবর্তে ডলার।
সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে সিটি কর্মীদের প্রাক্কলন হচ্ছে, বিলটির কারণে টরন্টো প্রতি উন্নয়ন মাশুল বাবদ ২৩ কোটি ডলার হারাবে। এর ফলে উন্নয়নের গতি শ্লথ হয়ে পড়তে পারে। কারণ, উন্নয়নের জন্য সহায়ক অবকাঠামোর জোগান দেওয়া সিটির পক্ষে কঠিন হবে।
জন টরি বলেন, নগরীর রাজস্বে বিকল্প উৎস নিয়ে প্রদেশের সঙ্গে আলোচনার জন্য অপেক্ষা করে আছেন তিনি। গার্ডিনার এক্সপ্রেসওয়ে ও ডন ভ্যালি পার্কওয়ে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব কমানোর পরও ওই সড়কের থেকে টোল আদায় বন্ধ করে দিয়েছে প্রদেশ। বিল ২৩ এর ফলশ্রুতিতে এই আলোচনার জন্যও আমি চাপ দেবো।
তিনি বলেন, আইনে ডেভেলপারদের মাশুল অব্যাহতি দেওয়ার পরও নগরীর ঘাটতি পূরণে প্রদেশ যদি এগিয়ে না আসে তাহলে আইনটির বিরুদ্ধে আমরা প্রচারণায় নামবো। এটা কেবল আমার অফিসে আলোচনার মধ্যে রেখেছি। অস্ত্র আমি নামিয়ে রেখেছে। তাই বলে বাদ দিইনি।