প্রগতিশীল রাজনীতিকরা ডানপন্থী প্রতিবন্ধকতা জয় করার আশা করছেন। তবে এটা তখনই সম্ভব হবে যদি তারা তাদের উচ্চাকাক্সিক্ষ লক্ষ্যের সঙ্গে জনগণের নিত্যদিনের সংগ্রামগুলোকে জুড়তে পারেন। শনিবার এমনটাই বলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
মন্ট্রিয়লে অনুষ্ঠিত গ্লোবাল প্রোগেস অ্যাকশন সামিটে প্যানেল আলোচনায় এই মন্তব্য করেন ট্রুডো। সম্মেলনে সাবেক ও বর্তমান বামপন্থী নেতারা জড়ো হয়েছিলেন। প্যানেল আলোচনায় ট্রুডো বলেন, জনগণের প্রাত্যহিক জীবনের চাওয়াগুলোর সঙ্গে আমরা যদি সাড়া দিতে না পারি তাহলে তাদের সঙ্গে আমরা নিজেদেরকে জুড়তে পারব না। নরওয়ের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জোনাস গাহর স্টার, নিউ জিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দ্রা আর্ডেন এবং ফিনল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী সানা মারিনও প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে জনগণকে তাদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আশাবাদী করে তোলা। সেই সঙ্গে বর্তমানে তারা যেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছেন সেগুলো থেকেও স্বস্তি দেওয়া। এটা হতে পারে অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মতো প্রগতিশীল লক্ষ্যের মাধ্যমে। সেখানেই আমরা জনগণের সঙ্গে নিজেদেরকে জুড়তে পারি।
তার এই মনোভাব রাজনৈতিক পরিম-লের ডানপন্থী নেতাদের বিপরীত। তিনি বলেন, তারা প্রায় সময়ই অতীতকে টেনে আনেন এবং জনগণের মধ্যকার ক্ষোভ, হতাশা ও উদ্বেগ বাড়িয়ে দেন। জনগণও মনে করেন যে তাদেরকে দেখা হচ্ছে এবং তাদের কথাগুলো শোনা হচ্ছে। কেউ যদি তাদের কাছে উত্তরগুলো নিয়ে এগিয়ে আসেন তাহলে জনগণ তাদের দিকেই যাবে।
দেশে সেইসব সমালোচকদের কাছ থেকে বড় ধরনের চাপের মধ্যে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এই সমালোচকদের যুক্তি হচ্ছে প্যানেলে যে লক্ষ্যের কথা প্রধানমন্ত্রী বলেছেন তা থেকে তিনি অনেক পিছিয়ে পড়ছেন।