এই বসন্তে হাজারো কানাডিয়ান কর্মী কর্মস্থলে ফিরছেন। অনেকের জন্যই দুই বছরের মধ্যে এটা প্রথম। স্বাভাবিকভাবেই সামাজিক রীতি প্রতিষ্ঠা পেতে কিছুটা সময় লাগবে।
২০২২ সালে পেশাদারি আচরণ কেমন হবে? রিক্রুটমেন্ট ফার্ম হেস কানাডার প্রেসিডেন্ট ট্রাভিস ও’রুর্কি বলেন, কর্মীদের উচিত একটা ইতিবাচক আভিজ্ঞতা নিয়ে কর্মস্থলে আসা। সেই সঙ্গে এটাও মনে রাখতে হবে যে, কর্মীরা অস্বস্তিতে পড়তে পারেন এমন পরিস্থিতিরও উদ্ভব হতে পারে। অফিসে ফেরার সংস্কৃতি সব ব্যবস্থার সর্বোচ্চ বিবেচনায় থাকা উচিত।
তিনি আরো বলেন, কর্মক্ষেত্রের সংস্কৃতিকে কর্মীদের পরিবর্তিত চাহিদার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হবে। সেই সঙ্গে এটাও মনে রাখতে হবে, গত দুই বছরে সমাজ কীভাবে বদলে গেছে।
অধিকাংশ কানাডিয়ানই বলেছেন, পুর্ণকালীন সময়ের জন্য তারা অফিসে ফিরতে চান না। সাম্প্রতিক অ্যামজন বিজনেস সমীক্ষা বলছে, কানাডিয়ান কর্মীদের অর্ধেকই বেশিরভাগ সময় বা পুরো সময় দূর থেকে কাজ করতে চান। নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান যদি কর্মস্থলে ফিরতে বাধ্য করে তাহলে নতুন চাকরি খোঁজার কথা জানিয়েছেন ৪৩ শতাংশ কানাডিয়ান।
ডাউনটাউনের জীবন শুরু হতে চলেছে। টরন্টোর আর্থিক ব্যবস্থার মূল কেন্দ্র ব্যস্ত হয়ে উঠছে। প্রধান প্রধান ব্যাংকগুলো কর্মীদের কর্মস্থলে ফিরতে বলেছে। ম্যালাইফ ফাইন্যান্সিয়াল করপোরেশন এ সপ্তাহ থেকে কর্মীদের স্বেচ্ছায় অফিসে আসার সুযোগ দিচ্ছে।
দেশের অন্যান্য অংশ যেমন আলবার্টা কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সব বিধিনিষেধ এ মাসের গোড়ার দিকে তুলে নিয়েছে। কর্মীরাও ডাউনটাউন অফিসে ফিরতে শুরু করেছেন।