চাকরি দেওয়ার সময় নিয়োগাদাতাদের বেতন বা মজুরির সীমা বাধ্যতামূলকভাবে ঘোষণা করতে হবে। শিগগিরই এটা চালু হবে।
চাকরিপ্রত্যাশীদের জন্য স্বচ্ছতা বৃদ্ধির জন্য যে নতুন আইন আনা হচ্ছে প্রস্তাবটি তারই অংশ। ওয়ার্কিং ফর ওয়ার্কারস শীর্ষক আইনটি ১৪ নভেম্বর এমপিরা কুইন’স পার্কে ফিরলে উত্থাপন করা হবে।
শ্রমমন্ত্রী ডেভিড পিচ্চিনি গত সপ্তাহে সিটিভি নিউজ টরন্টোকে বলেন, কর্মীদের বেতন রাখা হলে এক পক্ষই কেবল সুবিধাভোগী হয়। তারা হলো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো। পরামর্শের পর বেতনের সীমা সংক্রান্ত শর্তগুলো চূড়ান্ত করা হবে। তবে তিনি এটাও বিশ^াস করেন যে, সীমাটি খুব বড় হলে সেখানে স্বচ্ছতার ঘাটতি অব্যাহত থাকবে।
একইভাবে সরকার বার্ষিক এক লাখ ডলারের কম বেতন দিয়ে এটা শুরু করতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন শ্রমমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমি মনে করি আপনি যদি বার্ষিক এক লাখ ডলারের কম বেতনের কথা চিন্তা করে থাকেন তাহলে তা তারা জানতে চাই। কর্মজীবী শ্রেণির কর্মীরা ছয় অংকের ঘরে বেতন পান না। পরবর্তী পদক্ষেণ হিসেবে ভালো একটি চাকরির জন্য আবেদন করার আগে তারা বেতনের সীমাটি জানতে চায়।
বেতন ঘোষণা বাধ্যতামূলক করা অন্টারিওর একমাত্র প্রদেশ নয়। ব্রিটিশ কলাম্বিয়াও এ বছরের গোড়ার দিকে একই ঘোষণা দিয়েছে। জব পোস্টিংয়ে নিয়োগদাতাদের বেতনের কথা উল্লেখ করতে হবে বলে জানিয়েছে প্রদেশটি। পাশাপাশি চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছে নিয়োগদাতারা যাতে তাদের বেতনের ইতিহাস জানতে না চান সেই বিধানও রাখা হয়েছে আইনে।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার ২০২২ সালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেতন নিয়ে স্বচ্ছতা বিভিন্ন ডেমোগ্রাফিক গ্রুপের মধ্যে বেতন বৈষম্য কমিয়ে আনতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রেও একাধিক রাজ্যে চাকরির বিজ্ঞাপনে নিয়োগদাতাদের জন্য বেতন উল্লেখ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।