সাস্কেচুয়ানের স্কুৃলে সর্বনাম নীতি লিঙ্গ পরিচিতি এবং মত প্রকাশের অধিকারের লঙ্ঘন বলে জানিয়েছে শিশুদের নিয়ে কাজ করা প্রদেশের একটি অ্যাডভোকেসি গ্রুপ। গ্রুপটির ৪১ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে লিসা ব্রোডা বলেন, যেসব ট্রান্সজেন্ডার শিশুদের তাদের পছন্দের নাম বা সর্বনাম ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাবা-মায়ের সম্মতি গ্রহণের সুযোগ নেই তাদের ক্ষেত্রে এই নীতি সুষ্পষ্ট বৈষম্য।
তিনি বলেন, এই নীতি আইনেরও লঙ্ঘণ এবং বৈষম্যমূলক। বয়স নির্বিশেষে সব মানুষেরই তাদের সাধারণ পরিচিতি এবং লিঙ্গ প্রকাশের প্রতি সম্মান পাওয়ার জন্মগত অধিকার রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রদেশের সব স্কুলের এই আইন মেনে চলার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
সাস্কেচুয়ান সরকার গত মাসে এক ঘোষণায় বলেছে, ১৬ বছরের কোনো শিশু স্কুলে ভিন্ন নাম বা সর্বনাম নিতে চাইলে সেক্ষেত্রে বাবা-মায়ের সম্মতি থাকা আবশ্যক।
শিক্ষামন্ত্রী ডাস্টিন ডানকান বলেন, স্কুল বিভাগের মধ্যে প্রদেশ সর্বনাম ও নামের একটি মানদ-ভিত্তিক নীতি চালু করতে চায়। কিছু শিক্ষক ও বাবা-মা শিশুদের ভিন্ন নাম বা সর্বনাম গ্রহণের ব্যাপারে অভিযোগও করেছেন।
এই নীতির বিরুদ্ধে আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, এই হেমন্তে এটিকে তারা আইনে পরিণত করার পরিকল্পনা করছে। সাস্কেচুয়ানের প্রিমিয়ার স্কট মো বলেন, নীতিটির সুরক্ষায় নীতি নটউইথস্ট্যান্ডিং ক্লজ ব্যবহারের কথা ভাবছেন।
প্রদেশ বলেছে, লিঙ্গ পরিচয়ের কারণে যেসব শিশুকে তাদের বাড়িতে গ্রহণ করা হবে না তাদেরকে সহায়তা প্রদান করা স্কুলের দায়িত্ব। তবে এটা কীভাবে কাজ করবে সে ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি।
অধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো বলেছে, এই পরিবর্তন ট্রান্সজেন্ডার শিশুদের বাবা-মা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে হতে পারে এবং তারা তাদেরকে আর নাও গ্রহণ করতে পারে বলে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। তবে সাস্কেচুয়ান সরকার শিশু অধিকার গ্রুপটির এই উদ্বেগের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি।