গ্রীষ্মে এয়ার কানাডার ফ্লাইট বিলম্বের পেছনে আগের খারাপ পরিস্থিতি দায়ী বলে জানিয়েছেন এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাইকেল রুশো। যদিও দেশের বৃহত্তম এয়ারলাইন্সটি এরই মধ্যে মুনাফায় ফিরতে সক্ষম হয়েছে।
মাইকেল রুশো এক সম্মেলনে বিশ্লেষকদের বলেন, অধিক কর্মী এবং উন্নত প্রযুক্তি সত্ত্বেও এয়ার কানাডা জুন ও জুলাইয়ে প্রত্যাশিত সেবা দিতে পারেনি।
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এর জন্য দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিশেষ করে বজ্রপাতের কথা উল্লেখ করেছেন। পাশাপাশি বৈশি^ক সরবরাহ ব্যবস্থায় বিশৃঙ্খলাকেও এজন্য দায়ী করেছেন তিনি।
ফ্লাইট বিলম্ব ও বাতিল বিশেষ করে জ্যাজ এভিয়েশন পরিচালিত এয়ার কানাডার বৃহৎ আঞ্চলিক ফ্লাইট নেটওয়ার্ককে বিঘিœত করেছে। নতুন প্রতিযোগী ফ্লেয়ার এয়ারলাইন্স ও লিঙ্কস এয়ারের কারণে পাইলট ঘাটতির কথা উল্লেখ করেন রুশো। সেই সঙ্গে শিফটের দৈর্ঘ্যরে ব্যাপারে কঠোর বিধিনিষেধ ও ফ্লাইট স্কুলে ভর্তি কমে যাওয়াকে এজন্য দায়ী করেন তিনি।
দ্বিতীয় প্রান্তিকে অসংখ্য ফ্লাইট বিলম্ব হওয়া সত্ত্বেও এয়ার কানাডার মুনাফা মহামারি পূর্ববর্তী অবস্থঅয় পৌঁছে গেছে। উচ্চ ভ্রমণ চাহিদা ও টিকিটের মূল্য বৃদ্ধি এক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে।
চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে এয়ার কানাডার নিট মুনাফা হয়েছে ৮৩ কোটি ৮০ লাখ ডলার। আগের বছরের একই প্রান্তিকে মুনাফা হয়েছিল যেখানে ৩৮ কোটি ৬০ লাখ ডলার। ২০২২ সালের পুরো সময়ে এয়ালাইন্সটি প্রায় ১০০ কোটি ডলার লোকসান করে।
উচ্চ চাহিদার কারণে দ্বিতীয় প্রান্তিকে ১ কোটি ১০ লাখের বেশি যাত্রী এয়ারলাইন্সটি ব্যবহার করেছে। মুনাফা বৃদ্ধির কারণ হিসেবে টিকিটের উচ্চ মূল্যের কথা উল্লেখ করেছেন বিশ্লেষকরা।