অটোয়ার কূটনীতিকরা কনজার্ভেটিভ পার্টির পররাষ্ট্র নীতির বিষয়ে জানতে উদগ্রিব হয়ে আছেন। কারণ, প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলে বিশ^ পরিমন্ডলে তার অবস্থা কেমন হবে সে সম্পর্কে কিছু ইঙ্গিত দিয়েছেন কনজার্ভেটিভ নেতা পিয়েরে পয়লিয়েভর।
কনজার্ভেটিভরা জলবায়ু প্রতিশ্রুতিতে অটল থাকবে কিনা কিংবা ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে কিনা তা নিয়ে এক ধরনের অনিশ্চয়তায় রয়েছেন অটোয়ায় কর্মরত বিভিন্ন দূতাবাসের কূটনীতিকরা।
পয়লিয়েভার অভ্যন্তরীণ অর্থনীতির একটা বয়ান দাঁড় করানোর চেষ্টা করছেন এবং গুরুত্বপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতির দিকটা অন্যদের ওপর ছেড়ে দিতে চাইছেন। এমনটাই মনে করেন লবি ফার্ম স্ট্র্যাটেজিকর্পের ভাইস প্রেসিডেন্ট গ্যারি কেলার। সাবেক কনর্জার্ভেটিভ প্রধানমন্ত্রী জন বেয়ার্ডের সাবেক চিফ অব স্টাফ কেলার বলেন, নির্বাচনের ক্ষেত্রে কানাডিয়ানদের মনে যে বিষয়গুলো সবার আগে আসে সেগুলোতেই জোর দিতে চাইছেন পয়লিয়েভর। আবাসন ও স্বাস্থ্যসেবা এর মধ্যে অন্যতম।
সাবেক কনজার্ভেটিভ প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হারপারের সরকারে অভিবাসন মন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকারী ক্রিস আলেক্সান্ডার বলেন, সহিংসতা ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয় বিবেচনায় পয়লিয়েভর আরও বেশি সোচ্চার হতে পারেন। বিরোধীদলের নেতার কাছ থেকে জনগণের অনেক কিছু জানার অধিকার রয়েছে।
এক বছর আগে কনজার্ভেটিভ নেতা নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে পয়লিয়েভর কানাডায় প্রবাসী কমিউনিটির জন্য পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক কিছু কর্মসূচি নিয়েছেন। কানাডা থেকে কানাডার অমৃতসর পর্যন্ত সরাসরি ফ্লাইট চালুর জন্য এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি এর মধ্যে অন্যতম। শিখ ধর্মাবলম্বীদের মূল কেন্দ্র হচ্ছে অমৃতসর। পাশাপাশি লিবারেল সরকারের বিপরীতে এসে কিছু বিদেশি শক্তির ব্যাপারে কঠোর হওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি। ইরানের ইসলামিক রেভ্যুশনারি গার্ড কোর এর মধ্যে অন্যতম।