টরন্টোর মেয়র নির্বাচনের দৌড়ে অন্যদের চেয়ে এখনো এগিয়ে আছেন অলিভিয়া চাউ। তবে সর্বশেষ সমীক্ষায় তার প্রতি ভোটারদের সমর্থন খানিকটা কমেছে।
সোমবার প্রকাশিত ফোরাম রিসার্চের সর্বশেষ সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৩৫ শতাংশ ভোটার চাউকে ভোট দেবেন বলে জানিয়েছেন, ২ জুনের সমীক্ষার চেয়ে যা ৩ শতাংশীয় পয়েন্ট কম। ওই সমীক্ষায় অলিভিয়া চাউকে ভোট দিতে চেয়েছিলেন টরন্টোর ৩৮ শতাংশ ভোটার।
এর বিপরীতে তার কিছু প্রতিদ্বন্দ্বীর সমর্থন কিছুটা বেড়েছে। মার্ক সন্ডারস ও অ্যান্থনি ফারে উভয়ের সমর্থনই নতুন সমীক্ষায় ১ শতাংশ করে বেড়েছে। সন্ডারসকে ১৪ শতাংশ এবং ফারেকে ১১ শতাংশ ভোটার ভোট দেবেন বলে জানিয়েছেন। পূর্ববর্তী সমীক্ষার চেয়ে নতুন সমীক্ষায় ২ শতাংশীয় পয়েন্ট বেশি সমর্থন পেয়েছেন আনা বাইলাও। নতুন সমীক্ষায় তাকে ১০ শতাংশ টরন্টোবাসী ভোট দেওয়ার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন।
নতুন সমীক্ষায় ৩ পয়েন্ট সমর্থন হারিয়েছেন জশ ম্যাটলো। সর্বশেষ সমীক্ষায় তাকে ভোট দেওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছেন ৯ শতাংশ ভোটার। তবে মিটজি হান্টার ও ব্র্যাড ব্র্যাডফোর্ডের সমর্থনে কোনো পরিবর্তন আসেনি। মিটজি হান্টারকে ৭ শতাংশ এবং ব্র্যাডফোর্ডকে ৫ শতাংশ টরন্টোবাসী ভোট দেওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছেন।
গত ৯ জুন টেলিফোনের মাধ্যমে ১ হাজার ৪৭ জন টরন্টোবাসীর ওপর সমীক্ষাটি চালানো হয়। ফোরাম রিসার্চের প্রেসিডেন্ট লোরনে বোজিনফ বলেন, নির্বাচনে প্রতিযোগিতার এখনো যে জায়গা আছে সমীক্ষার ফলাফল অন্তত তাই বলছে। সামনের কয়েক সপ্তাহে নির্বাচনী ছবিটা বদলেও যেতে পারে। ফারে এবং বাইলাওয়ের সমর্থনে পরিবর্তনটা দ্রুত আসতে পারে। গত দুই সপ্তাহে আমরা অবাক করার মতো পরিবর্তন দেখতে পেয়েছি। চাউকে পরাজিত করতে চাইলে যেকোনো প্রার্থীকেই অনেকদূর পাড়ি দিতে হবে। এজন্য অন্য প্রার্থীদের সমর্থন লাগবে। যদিও এখন পর্যন্ত কেউই তেমন আগ্রহ দেখাননি। গত সপ্তাহে মার্ক সন্ডারস অলিভিয়া চাউকে হারাতে অন্য প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়ে তাকে সমর্থন করার আহ্বান জানিয়েছেন। কেউই সন্ডারসের এই আহ্বানে কান দেননি।
আগামী ২৬ জুন টরন্টোর মেয়র নির্বাচনে ভোট গ্রহণের দিন ধার্য্য আছে। তবে অগ্রিম ভোটগ্রহণ আগেই শুরু হয় এবং ১৩ জুন পর্যন্ত চলে।
ফোরাম রিসার্চের সমীক্ষায় নির্বাচনে প্রধান ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে বাড়ির ক্রয়ক্ষমতা. জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি এবং মূল্যস্ফীতি। এর পরেই রয়েছে নগরীর অবকাঠামো, সেবা ও কর, যানবাহন, যানজট, ট্রানজিট এবং অপরাধ ও বন্ধুক হামলা।