
গ্রেটার টরন্টো এরিয়ার (জিটিএ) কিছু মিউনিসিপালিটি নিরীক্ষার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে অন্টারিও। প্রদেশের উন্নয়ন মাশুল হ্রাসের পরিপ্রেক্ষিতে কমিউনিটিগুলোর কর্মকর্তারা রাজস্ব বাবদ বিপুল পরিমাণ অর্থ হারানোর ব্যাপারে উদ্বেগ জানানোর পর এ পদক্ষেপ নিয়েছে ফোর্ড সরকার।
বৃহস্পতিবার বিকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ফোর্ড সরকার বলেছে, টরন্টো, মিসিসোগা, ক্যালেডন, ব্র্যাম্পটন, নিউমার্কেট ও রিজিয়ন অব পিলের আর্থিক বিষয় পর্যালোচনায় তৃতীয় পক্ষের প্রতিষ্ঠান নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করছে তারা। তারা নিরীক্ষার কথা ভাবছে, যা এ বছরের শেষের দিকে করা হবে। এর ফলে উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট ফি ও মাশুলের ওপর বিল ২৩ এর সম্ভাব্য প্রভাব জানা যাবে।
মিউনিসিপাল ও আবাসন সংক্রান্ত মন্ত্রী স্টিভ ক্লার্ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, উন্নয়ন মাশুলের বিষয়টি সুরাহা করতে এবং স্থানীয় সেবা ও প্রকল্পে বিনিয়োগের সামর্থ্য নিশ্চিত করতে প্রকৃত তথ্য যাতে পাওয়া যায় সেজন্য আমাদের মিউনিসিপাল অংশীদারদের সঙ্গে আমরা কাজ করছি। বাড়ির সরবরাহ বিঘœ না ঘটিয়ে যাতে এটি বাড়ে সেটাই এর লক্ষ্য। আবাসন স্বল্পতা নিরসনে সব স্তরের সরকারের একযোগে কাজ করাটা খুব বেশি জরুরি। সেই সঙ্গে ২০৩১ সালের মধ্যে আমরা যাতে ১৫ লাখ নতুন বাড়ি নির্মাণের লক্ষ্য অর্জন করতে পারি সেজন্যও এটা প্রয়োজন।
উন্নয়ন ফি ও মাশুল বাতিলের কারণে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হতে হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছে বেশ কয়েকটি মিউনিসিপাল। এর ফলে প্রদেশের ঠিক করে দেওয়া উচ্চাকাক্সিক্ষ আবাসনের লক্ষ্যে পৌঁছানো তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়বে।
যদিও প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ড এই দাবির প্রতি একাধিকবার সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। গত ডিসেম্বরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, টরন্টো সিটি হলে নিশ্চয় অপচয় আছে এবং অপচয় রোধে করদাতাদের অর্থের সঠিক ব্যবস্থাপনা আমাদের দায়িত্ব।
বিল ২৩ এর সমালোচনা করায় মিসিসোগার মেয়র বনি ক্রম্বিকে অভিযুক্তও করেন তিনি। ডগ ফোর্ড বলেন, তার ইস্যু কী আমার কাছে তা বোধগম্য নয়।
টরন্টোর কর্মকর্তারা বলেছেন, বিল ২৩ এর পরিবর্তনের কারণে তাদের রাজস্ব কমবে ২০ কোটি ডলার। প্রদেশের তহবিল জোগানের প্রতিশ্রুতি ছাড়া এই গ্রীষ্মে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সাশ্রয়ী বাড়ি নির্মাণের কাজ তাদেরকে বন্ধ রাখতে হতে পারে।
বিল ২৩ এর কারণে আগামী এক দশকে প্রায় ১০০ কোটি ডলার রাজস্ব হারানোর কথা জানিয়েছে মিসিসোগা।