
প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো কানাডায় বিদেশি হস্তক্ষেপের ব্যাপারে নতুন করে তদন্তের জন্য সংসদের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটিকে নির্দেশ দিতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার মতো বিদেশি এজেন্টদের জন্য রেজিস্ট্রি তৈরির ব্যাপারে জনগণের মতামত সংগ্রহের ঘোষণা দিতে পারেন তিনি।
সংসদ সদস্যদের নিয়ে গঠিত ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স কমিটিতে বিভিন্ন দলের এমপিদের পাশাপাশি একজন সিনেটরও রয়েছেন। লিবারেলদের সংখ্যালঘু সরকার নিশ্চিত করতে সহায়তার অংশ হিসেবে চীন ২০২১ সালের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেছে। সেই সঙ্গে চীনের প্রতি বন্ধুভাবাপন্ন নয় এমন কনজার্ভেটিভ প্রার্থীরা যাতে জিততে না পারেন সেজন্যও কাজ করেছেন চীন। বিরোধীদল এই অভিযোগের পূর্ণাঙ্গ গণ তদন্তের দাবি জানিয়ে আসছে। যদিও প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলে আসছেন, বিষয়টির পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য যে ধরনের ব্যবস্থা দরকার কানাডার তা রয়েছে।
কনজার্ভেটিভ নেতা পিয়েরে পয়লিয়েভর এবং এনডিপি নেতা জাগমিত সিং উভয়েই সোমবার বলেন, যতটা সম্ভব স্বচ্ছ না হলে কানাডার নির্বাচনে বিদেশি হস্তক্ষেপের তদন্ত তারা গ্রহণ করবেন না। পয়লিয়েভর বলেন, গোপন পদ্ধতিতে যাতে কোনোদিনই সত্য বেরিয়ে আসবে না তা তিনি গ্রহণ করতে পারেন না।
জাগমিত সিংও বিশ^াস করেন গোপন ব্রিফিং বিষয়টির ওপর খুব বেশি আলো ফেলবে না। এটা গোপনীয় হতে পারে বলে তিনি মনে করেন না। লিবারেল সংখ্যালঘু সরকারের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখতে দুই দলের মধ্যে স্বাক্ষরিত কনফিডেন্স অ্যান্ড সাপ্লাই চুক্তির আওতায় তিনি নতুন শর্ত জুড়ে দিতে পারেন বলে জানিয়েছেন জাগমিত সিং। তবে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত এখনো চূড়ান্ত হয়নি বলে জানান তিনি।
চুক্তি অনুযায়ী, ২০২৫ সাল নাগাদ হাউস অব কমন্সে গুরুত্বপূর্ণ ভোটগুলোতে সমর্থন দিয়ে যাবে এনডিপি। এর বিনিময়ে লিবারেলরা এনডিপির অগ্রাধিকারগুলোকে গুরুত্ব দেবে।