
কানাডার আকাশ ও জলসীমায় সম্প্রতি চীনের নজরদারি কার্যক্রম সম্পর্কে ডিপার্টমেন্ট অব ন্যাশনাল ডিফেন্স এবং কানাডার সশস্ত্র বাহিনী সতর্ক ছিল বলে জানিয়েছে। মুখপাত্র ড্যানিয়েল লি বোথলিয়ের এক বিবৃতিতে বলেছেন, অপারেশন লিমপিডের আওতায় কানাডার সশস্ত্র বাহিনী ২০২২ সাল থেকেই কানাডার ভূখ-ে নজরদারির চেষ্টার ওপর চোখ রাখছে ও তা বন্ধে কাজ করছে। কার্যক্রমের স্বার্থে এই মুহূর্তে আমরা এর বেশি তথ্য সরবরাহ করতে পারছি না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি বুধবার সকালে সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, চীন ক্রমেই বাধা সৃষ্টিকারী শক্তি হয়ে উঠছে। উত্তর আমেরিকার আকাশসীমা রক্ষায় কানাডা নোরাডের সঙ্গে কাজ করে যাবে এবং আর্কটিকে কানাডার অখ-তা রক্ষায় বলিষ্ঠ অবস্থান নেবে। চীনের কথা আসলে প্রয়োজন হলে আমরা তাদের চ্যালেঞ্জ করবো। প্রয়োজন হলে তাদের সঙ্গে সহযোগিতাও করবো। আর্কটিকে আমাদের সমুদ্রসীমার ইস্যুতে অথবা সার্বভৌমত্বে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ হলে সেক্ষেত্রে আমাদের অবস্থান হবে পরিস্কার। সেভাবেই আমরা পরিস্থিতি মোকাবিলা করবো।
আর্কটিকে চীনের মনিটরিং বয়া কানাডার সশস্ত্র বাহিনী শনাক্ত করেছে বলে গ্লোব অ্যান্ড মেইল প্রতিবেদন প্রকাশ করার পর এই মন্তব্য করলেন মেলানি জোলি। এটা শনাক্ত হওয়ার পর এ মাসের গোড়ার দিকে উঁচুতে উড়তে থাকা চীনের নজরদারি বেলুন ভুপাতিত করার সিদ্ধান্ত নেয় যুক্তরাষ্ট্র। যদিও এটা গুপ্তচরবৃত্তির কাজে ব্যবহৃত হয় এমন কিছু ছিল না বলে দাবি করেছে চীন।
এরপর উত্তর আমেরিকার আকাশসীমায় উড়তে থাকা আরও তিনটি বস্তু ভুপাতিত করা হয়েছে। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, আমার যে চীনের গুপ্তচরবৃত্তির কাজে ব্যবহৃত বেলুনের কথা বলছি, এগুলো সেরকম কিছু বলে জানা যায়নি।
সেইন্ট ফ্রান্সিস জ্যাভিয়ের ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ও কানাডিয়ান আর্কটিক মেরিন সিকিউরিটি বিষয়ক বিশেষজ্ঞ অ্যাডাম লায়েনেস বলেন, চীনের বয়ায় কী ধরনের সরঞ্জাম ছিল সে ব্যাপারে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। দ্বৈত কাজে ব্যবহৃত এক ধরনের বৈজ্ঞানিক ডিভাইস এটা, যা চীনের যে দুটি আইসব্রেকার রয়েছে সেগুলো থেকে ফেলা হয়েছে।
তবে বয়াগুলো কানাডিয়ান জলসীমা অতিক্রম করেছে কিনা সেই প্রশ্ন এখনো রয়েই যাচ্ছে। অথবা ইচ্ছাকৃতভাবে সেগুলোকে কানাডিয়ান অংশে নোঙর করা হয়েছিল কিনা সেটাও অস্পষ্ট।