
অন্টারিওতে অতি সংক্রামক ওমিক্রনের সাবভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ বাড়ছে। এটাই প্রদেশের পরবর্তী আধিপত্যকারী কোভিড-১৯ এর ভ্যারিয়েন্ট হতে যাচ্ছে বলে জানান অন্টারিওর সায়েন্স টেবিলের সাবেক প্রধান ড. ফাহাদ রাজাক।
তিনি বলেন, এক্সবিবি.১.৫. বা ক্রাকেনের সংক্রমণ সীমান্তের দক্ষিণে বাড়ছে। অন্টারিওতেও একই পরিস্থিতি তৈরি কেবল সময়ের ব্যাপার। আমরা যদি যুক্তরাষ্ট্রের সংক্রমণের গতিবিধির দিকে নজর রাখি তাহলে দেখবো কয়েক সপ্তাহের মধ্যে অন্টারিও ও কানাডাজুড়ে এটি আধিপত্যকারী ভ্যারিয়েন্ট হয়ে উঠবে।
পাবলিক হেলথ অন্টারিওর সর্বশেষ কোভিড-১৯ জেনোমিক সার্ভিল্যান্স প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ সপ্তাহের শেষ দিকে মোট কোভিড আক্রান্তের ২২ শতাংশের জন্য কারণ হয়ে দাঁড়াবে একবিবি.১.৫ সাবভ্যারিয়েন্ট।
এক সপ্তাহের তুলনায় এটা অনেক বেশি। সপ্তাহখানেক আগে মোট আক্রান্তের দশমিক ৭ শতাংশের কারণ ছিল এই সাবভ্যারিয়েন্ট। ৪ থেকে ৩১ ডিসেম্বের পর্যন্ত অন্টারিওতে এক্সবিবি.১.৫ সাবভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছিল মোট ১০৫ জন। তাদের বেশিরভাগের বয়স ৪০ থেকে ৫৯ বছর। গত সপ্তাহ পর্যন্তও ওমিক্রন বিকিউ.১.১ সাবভ্যারিয়েন্ট ছিল আধিপত্যকারী।
কিন্তু দ্রুতই তা বদলে যাবে জানিয়ে ড. রাজাক বলেন, ওমিক্রনের অন্য যেকোনো সাবভ্যারিয়েন্টের চেয়ে এক্সবিবি.১.৫ সাবভ্যারিয়েন্ট সবচেয়ে বেশি উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গত সপ্তাহে এক প্রতিবেদনের বলেছে, এক্সবিবি.১.৫ সাবভ্যারিয়েন্টের কারণে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে পারে। এ কারণেই আগেভাগেই পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে জানান ড. রাজাক।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের যেসব অঞ্চলে এই সাবভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ দেখা গেছে সেখানে হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যাও বেড়ে গেছে। ওমিক্রনের আগের ভ্যারিয়েন্টগুলোর ক্ষেত্রে এমনটা দেখা যায়নি। আমরা সবাই জানি যে, গত কয়েক মাস ধরে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা তা সে শিশু হাসপাতালই বলুন বা বড়দের হাসপাতাল সবাই বেশ চাপের মধ্যে রয়েছে। সুতরাং সামনের সপ্তাহগুলোতে যে সংক্রমণ বাড়তে যাচ্ছে এটা স্বীকার করে নেওয়া প্রয়োজন। কি করলে সংক্রমণ কমানো যাবে সে আলাপ করাটাও জরুরি। অসুস্থ্যতা থেকে মুক্ত থাকতে ভ্যাকসিন নেওয়ার গুরুত্বের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
ড. রাজাক বলেন, হালনাগাদকৃত কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন এই সাবভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কতটা কার্যকর তা এখনো প্রমাণিত হয়নি। এক্সবিবি.১.৫ সাবভ্যারিয়েন্ট কিছু সুরক্ষা ব্যবস্থা ভাঙতে সক্ষম বলেই মনে হচ্ছে। সেই সঙ্গে আক্রান্ত ব্যক্তি আবারও সংক্রমিত হতে পারে, বিশেষ করে যাদের ভ্যাকসিন নেওয়ার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এই সাবভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ বৃদ্ধি এবং তা বারবার সংক্রমিত করতে পারে ভেবে নিয়েই আমাদের পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।