নেতা হিসেবে জাস্টিন ট্রুডোর পদত্যাগ চান সিংহভাগ কানাডিয়ান। তবে অনেকেই আছেন, যারা চান ট্রুডো দায়িত্ব চালিয়ে যাক। এছাড়া ২০২৩ সালেই প্রায় অর্ধেক কানাডিয়ান সাধারণ নির্বাচন চাইলেও এমনটা হবে বলে মনে করেন ৫০ শতাংশেরও কম কানাডিয়ান। ইপসসের বছরশেষের সমীক্ষায় এমনটাই উঠে এসেছে।
২০২৩ সালে ফেডারেল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত কিনা? ইপসস এই প্রশ্ন রাখলে না সূচক উত্তর দেন ৫১ শতাংশ কানাডিয়ান। হ্যা সূচক উত্তর দেন ৪৯ শতাংশ কানাডিয়ান। যারা হ্যাঁ সূচক উত্তর দিয়েছেন তাদের মধ্যে নারীদের তুলনায় পুরুষের হার বেশি। নারীদের মধ্যে এ হার ৪৬ শতাংশ হলেও পুরুষের মধ্যে তা ৫১ শতাংশ। নতুন বছরে যারা ফেডারেল নির্বাচনের পক্ষে তাদের হার সবচেয়ে বেশি আটলান্টিক কানাডায় ৬৩ শতাংশ। এর পরে আছে আলবার্টা (৬০ শতাংশ) এবং সাস্কেচুয়ান ও ম্যানিটোবা (৫৫ শতাংশ)।
তবে অন্টারিওতে পরিস্থিতি কিছুটা জটিল। সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশটির মাত্র ৪৬ শতাংশ মানুষ ২০২৩ সালে ফেডারেল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে বিশ^াস করেন। কুইবেকে এ হার আরও কম ৪০ শতাংশ। দেশের অর্ধেক নাগরিক ২০২৩ সালে ফেডারেল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত বলে মনে করলেও এমনটা ঘটবে বলে বিশ^াস করেন মাত্র ৪৩ শতাংশ কানাডিয়ান।
কুইবেক বাদে কানাডার অধিকাংশ এলাকার সিংহভাগ মানুষ মনে করেন, জাস্টিন ট্রুডোর সরে দঁড়ানোর সময় এখন।
দেশব্যাপী ৫৪ শতাংশ কানাডিয়ান বলেছেন, নতুন কাউকে সুযোগ দিতে ট্রুডোর উুচিত প্রধানমন্ত্রী ও লিবারেল নেতার দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানো। এই মত সবচেয়ে বেশি পোষণ করেছেন আলবার্টার নাগরিকরা, যার হার ৬৫ শতাংশ। এর পরের অবস্থানে আছে যথাক্রমে আটলান্টিক কানাডা (৫৭ শতাংশ) এবং অন্টারিও, সাস্কেচুয়ান ও ম্যানিটোবা (৫৬ শতাংশ)।
এদিকে এই সময়ে কনজার্ভেটিভ নেতা পিয়ের পয়লিয়েভরের গ্রহণযোগ্যতা আরও বেড়েছে। তার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন ৪১ শতাংশ কানাডিয়ান। এর মধ্যে অন্টারিও এবং আটলান্টিক কানাডায় তার প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছেন ৪২ শতাংশ কানাডিয়ান। এই দুই এলাকায় আসনপ্রাপ্তি তার জন্য খুব জরুরি। ৪২ শতাংশকে কম মনে হলেও সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠনের জন্য যে ভোটের প্রয়োজন তার চেয়ে বেশি আছে এই হার।
উল্লেখ্য, ১৪ থেকে ১৬ ডিসেম্বর ১ হাজার ৪ জন প্রাপ্ত বয়স্ক কানাডিয়ানের ওপর সমীক্ষাটি চালানো হয়।