চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে কি ধরনের হস্তক্ষেপের বিষয় উত্থাপন করেছিলেন সে ব্যাপারে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত সাম্প্রতিক জি২০ বৈঠকে কানাডার ব্যাপারে চীনের হস্তক্ষেপ নিয়ে গুরুতর উদ্বেগের কথা শি জিনপিংয়ের সামনে তুলে ধরেন জাস্টিন ট্রুডো। তবে এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলা হয়নি।
দুই নেতার মধ্যে অনির্ধারিত আলাপ ক্যামেরায় ধরা পড়ে। শি জিনপিং পরে দোভাষীর মাধ্যমে ট্রুডোকে বলেন, আলোচনার বিস্তারিত গণমাধ্যমে প্রকাশ করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের মধ্যে যে কথা-বার্তা হয়েছে তার সবই পত্রিকায় ফাঁস করে দেওয়া হয়েছে। এটা সঠিক কাজ নয়।
হাউস অব কমন্সে বুধবার প্রশ্নোত্তরের সময় কনজার্ভেটিভ নেতা পিয়েরে পয়লিয়েভর জানতে চান, কি ধরনের হস্তক্ষেপের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী চীনের প্রেসিডেন্টের সামনে তুলে ধরেন? জবাবে ট্রুডো বলেন, আমরা বহু বছর ধরেই জানি যে, চীন সরকারের প্রতিনিধিরা স্থানীয় গণমাধ্যম, অবৈধ চীনা পুলিশ স্টেশনের মাধ্যমে কানাডিয়ান কমিউনিটিতে সক্রিয় রয়েছেন। এসব নিয়ে আমাদের উদ্বেগ আছে। এ ব্যাপারে আমাদের কর্মকর্তাদের সক্রিয় থাকতে হবে এবং কানাডিয়ানদের সুরক্ষিত রাখতে সতর্ক অবস্থায় থাকতে হবে।
আরসিএমপি এ মাসের গোড়ার দিকে জানায়, একটি মানবাধিকার গ্রুপের তথ্যের পর কানাডায় চীনের পুলিশ স্টেশন পরিচালনা সংক্রান্ত অপরাধমূলক কর্মকাণন্ড তদন্ত করে দেখঅ হচ্ছে। গ্রেটার টরন্টো এরিয়াতে তিনটিসহ কানাডাজুড়ে ৫০টির বেশি ভেন্যুতে এ ধরনের কর্মকা- চালিয়ে যাচ্ছে তারা।
চীনের হস্তক্ষেপের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীকে কখনো অবগত করা হয়েছে কিনা জানতে চান পয়লিয়েভর। উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কানাডার হুমকি সম্পর্কে গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা নিয়মিতই তাকে অবহিত করেন। সেটা হতে পারে সাইবার হুমকি, অভিবাসী কমিউনিটির সাহায্যে হস্তক্ষেপ অথবা অনলাইনে ভুয়া তথ্য ছড়ানো।
২০১৯ সালের ফেডারেল নির্বাচনে চীনের হস্তক্ষেপের ব্যাপারে অবগত ছিলেন কিনা সে ব্যাপারেও ট্রুডোর কাছে বক্তব্য চাওয়া হয়। বেইজিং নেটওয়ার্কের মাধ্যমে চীনের তহবিল এসেছে বলে গ্লোবাল নিউজ প্রতিবেদন প্রকাশ করার পর বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে সংসদের একটি কমিটি।
প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা স্টিফান পেরো বুধবার সংসদীয় কমিটিকে বলেন, সাম্প্রতিক খবরের বিষয়বস্তুর সঠিকতা সম্পর্কে বলার মতো অবস্থায় তিনি নেই। চীনের হস্তক্ষেপ সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট কোনো প্রতিবেদন তিনি পাননি। তবে এ ধরনের প্রতিবেদনের কোনো তদন্ত যদি দরকার পড়ে তার দায়িত্ব তার নয়। এটার দায়িত্ব কমিশনার অব কানাডা ইলেকশনের। নির্বাচন স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হয়নি বলে বিশ^াস করার মতো কারণ তিনি দেখছেন না।