আট মাসের পুনর্বাসন প্রকল্প শেষে ২০ নভেম্বর খুলে দেওয়া হয়েছে টরন্টো পিয়ারসন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের দ্বিতীয় ব্যস্ততম রানওয়েটি। ৮ কোটি ডলারের প্রকল্পটি শেষ হতে সময় লেগেছে দেড় বছর।
পরিবহনমন্ত্রী ওমর আলঘাবরা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, পিয়ারসন কানাডার সবচেয়ে ব্যস্ত এবং উত্তর আমেরিকার অন্যতম ব্যস্ত বিমানবন্দর। এই রানওয়েটি চালু হওয়ায় যাত্রীরা আরও নির্বিঘেœ ও নিরাপদে গ্রেটার টরন্টো এরিয়াতে ঢুকতে ও বেরোতে পারবেন।
এমন এক সময় রানওয়েটে খুলে দেওয়া হলো যখন ছুটির মৌসুম। গ্রেটার টরন্টো এয়ারপোর্ট অথরিটির (জিটিএএ) একজন মুখপাত্র বলেন, ছুটির মৌসুম খুবই ব্যস্ত হতে যাচ্ছে। বিশেষ করে পরিবারগুলোর জন্য।
পুরো গ্রীষ্মজুড়ে পিয়ারসন বিমানবন্দরের যাত্রীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফ্লাইট বিলম্বে পড়তে হয়েছে, দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে অথবা সুটকেস খোয়া যাওয়ার মতো অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। বিলম্বের বিচারে সবচেয়ে বাজে বিমানবন্দরের তকমাও জুটেছে পিয়ারসনের। সেপ্টেম্বরে গ্রাহক সন্তুষ্টিতে উপমাহাদেশের সবচেয়ে বাজে পাঁচটি বিমানবন্দরের একটি ছিল টরন্টো পিয়ারসন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট। তারপর থেকেই জিটিএএ যাত্রী সেবা ভালো করতে এয়ারলাইন্স ও সরকারের সঙ্গে কাজ করার কথা জানিয়েছে।
জিটিএএর টরি গাস এক ইমেইল বিবৃতিতে বলেন, যাত্রীদের অভিজ্ঞতার উন্নয়নে পিয়ারসন এয়ারপোর্ট ও অংশীদাররা সমন্বিতভাবে কাজ করার ফলে গত গ্রীষ্ম থেকে পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে। এই কার্যক্রম চলমান রয়েছে এবং আরও উন্নতি হবে বলে আমরা আশাবাদী।
এই ছুটিতে যারা ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন তাদেরকে হাতে সময় নিয়ে বিমানবন্দরে উপস্থিত হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের যাত্রীদের দুই ঘণ্টা আগে এবং আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের যাত্রীদের তিন ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে পৌঁছানোর আহ্বান জানিয়েছেন গ্রাস।
তার মতে, ভ্রমণের দিনটি যাতে নির্বিঘ্ন হয় সেজন্য পিয়ারসনের যাত্রীরা বেশ কিছু ওয়েবসাইট ও অ্যাপ দেখে নিতে পারেন। সিকিউরিটি লাইনে স্পট বুক করতে যাত্রীরা ওয়াইওয়াইজেডের সাহায্য নিতে পারেন।