
ফেডারেল সরকার স্বাস্থ্য খাতে আরও বিনিয়োগ করবে। কিন্তু ব্যবস্থাটির উন্নতির ফলাফ যাতে কানাডিয়ানরা দেখতে পান সেটা নিশ্চিত করাও দরকার বলে মন্তব্য করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
ভ্যানকুভারে কানাডার ফেডারেল, আঞ্চলিক ও প্রাদেশিক স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের দুই দিনব্যাপী বৈঠকের আগে গত ৮ নভেম্বর মন্ট্রিয়লে তিনি এ মন্তব্য করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সেই সঙ্গে কানাডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সাম্প্রতিক বিবৃৃতির দিকেও ইঙ্গিত করে বলেন, ভঙ্গুর ব্যবস্থায় আরও অর্থ ঢালার কোনো প্রয়োজন নেই।
তিনি বলেন, জনগণের পারিবারিক চিকিৎসক ও মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে চায় সরকার। সেই সঙ্গে প্রয়োজন হলে জনগণ যাতে তাদের শিশুদের হাসপাতালে নিয়ে জরুরি বিভাগ খোলা পান সেটাও নিশ্চিত করতে চাই আমরা।
২০১৮ সালের পর এই প্রথম কানাডার স্বাস্থ্যমন্ত্রীরা স্বশরীরে ভ্যানকুভারের বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন। এর আগে জুলাইয়ে প্রিমিয়াররা বৈঠকে বসেছিলেন। সেখানে তারা ফেডারেল সরকারের কাছে তহবিল ২২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ শতাংশ করার আহ্বান জানান।
কানাডিয়ানদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন জাস্টিন ট্রুডো। তিনি বলেন, সুতরাং সেখানে অর্থ লাগবে। কিন্তু আমরা এই নিশ্চয়তা চাই যে, স্বাসন্থ্যখাতে বাড়তি বিনিয়োগ সম্মুখসারির ব্যক্তি, নার্স ও চিকিৎসকরা কানাডিয়ানদের স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছেন। সেই সঙ্গে এটাও নিশ্চিত করতে চাই যে, স্বাস্থ্যসেবা খাতে বিনিয়োগের ফলাফল কানাডিয়ানরা অনুভব করতে পারছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নার্স ও চিকিৎসক স্বল্পতা কাটিয়ে উঠতে, ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তি এবং মানসিক স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে প্রদেশের বাড়তি অর্থের প্রয়োজন।
বিভিন্ন সংস্থা ও হাসপাতালের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন কানাডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন, কানাডিয়ান নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন ও হেলথকেয়ারক্যানও কর্ম সংকট এবং অন্যান্য সংকট নিরসনে স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের চাপ দিয়েছে। কর্মীদের ধরে রাখতে প্রণোদনা প্রদান, মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা বৃদ্ধি এবং চিকিৎসকদের লাইসেন্সপ্রাপ্তি সহজ করার পদক্ষেপ গ্রহণে তারা যৌথভাবে দাবিও জানিয়েছে। পাশাপাশি প্রাতমিক স্বাস্থ্যসেবাপ্রাপ্তি সহজ করার দাবিও জানিয়েছে তারা।