ওয়াশিংটনে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় পড়া কানাডায় নির্মিত ফ্লোট প্লেন পরিদর্শনে অবিলম্বে আদেশ দিতে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড ২৯ অক্টোবর জরুরি নিরাপত্তা সুপারিশ করেছে। সেখানে ডিএইচসি-৩ ওটার নামে পরিচিত কানাডায় নির্মিত ডি হাভিল্যান্ড কানাডা ডিএইচসি-৩ উড়োজাহাজ দ্রুত পরিদর্শনের জন ট্রান্সপোর্ট কানাডা ও এইএস ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
সুপারিশে বলা হয়েছে. দুর্ঘটনার আগে ওটারের গুনরুত্বপূর্ণ একটি যন্ত্রাংশ সম্ভবত বেরিয়ে আসে। যে কারণে সিয়াটলের উত্তরে পুগেট সাউন্ডে ওই দুর্ঘটনা ঘটে এবং ১০ জন নিহত হন।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্র্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, তারা ও কানাডার ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড অন্টারিওভিত্তিক ওটারের নির্মাতাকে নির্দেশিকার খসড়া তৈরি করতে বলেছি। তাতে এ ধরনের উড়োজাহাজ পরিচালনাকারীদের টেইল স্ট্যাবিলাইজার পরিদর্শনের কথা বলা হয়েছে।
ডি হাভিল্যান্ড কানাডার করপোরেট অ্যাফেয়ার্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট নিল সুইনি এক বিবৃতিতে বলেন, ভাইকিং এয়ার ২৬ অক্টোবর একটি সার্ভিস লেটার ইস্যু করেছে। চিঠিটি ট্রান্সপোর্ট কানাডা এবং ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড অব কানাডা এবং এনটিএসবির কাছেও পাঠানো হয়েছে। সার্ভিস লেটারে ডিএইচসি-৩ এর স্ট্যাবিলাইজারের সঙ্গে সম্পর্কিত লকিং রিং সঠিকভাবে লাগানো হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার রিচমন্ডভিত্তিক হারবার এয়ার গ্রুপ এক ইমেইল বিবৃতিতে সম্প্রতি এর ডি হাভিল্যান্ড ওটারে বাড়তি পরিদর্শন সম্পন্ন করার কথা জানিয়েছে। হারবার এয়ারের বিক্রয় ও বিপণন শাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট মেরেডিথ মল বলেন, এতে ত্রুটিপূর্ণ কিছু পাওয়া যায়নি এবং সব উড়োজাহাজ সেবায় ফিরেছে।
এক ইঞ্জিনের, প্রোপেলারচালিত ডিএইচসি-৩ ওটার উড়োজাহাজের নির্মাণ শুরু হয় ১৯৫০ এর দশকে। হারবার এয়ার ও ক্যাম্পবেল রিভার এবং ব্রিটিশ কলাম্বিয়াভিত্তিক ভ্যানকুভার আইল্যান্ড এয়ারসহ কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু চার্টার এয়ারলাইন্স এগুলো পরিচালনা করছে।