
আগামী বছরে কানাডা সম্ভবত মন্দার মধ্যে পড়বে বলে জানিয়েছেন ব্যাংক অব কানাডা ও ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সাবেক গভর্নর মার্ক কার্নি। তার মতে, মন্দার মধ্যে পড়লেও অন্যান্য দেশের তুলনায় কানাডা ভালো করবে এবং শক্তিশালী অথনৈতিক মৌলভিত্তির কারণে দ্রুত মন্দা থেকে ঘুরে দাঁড়াবে।
ব্যাংকিং, কমার্র্র্স ও ইকোনমি সংক্রান্ত সেনেট কমিটির সামনে তিনি বলেন, আগামী বছর কানাডা সম্ভবত নিজেদের মন্দার মধ্যে দেখতে পাবে। বিদায়ী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের সংক্ষিপ্ত বাজেট কেন তার দেশে এতোটা অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে সে ব্যাখ্যাও সেনেটরদের সামেন তুলে ধরেন তিনি।
কার্নি বলেন, আমার মনে হয়, মন্দা হবে বৈশি^ক এবং খুব সম্ভবত কানাডায়। এটা অনেকটা আজকের দিনের আকাশ ভ্রমণের মতো। আমরা জানি যে, আমরা কোথায় যাচ্ছি। কিন্তু কখন পৌঁছাবো সেটা জানি না। সুতরাং, ঠিক কবে মন্দা আসবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।
সেনেটরদের কার্নি বলেন, চীন কার্যত মন্দার মধ্যে চলে গেছে। ইউরোপও ঢুকছে এবং যুক্তরাজ্য এরই মধ্যে মন্দার মধ্যে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি বাড়লেও আগামী বছরের কোনো এক সময়ে কানাডাও মন্দার মধ্যে ঢুকে যাবে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের প্রধান অর্থনীতিবিদ পিয়েরে-অলিভিয়ের গুরিনশাচের পূর্বাভাসের চেয়েও কার্নির পূর্বাভাস বেশি তমশাচ্ছন্ন। গুরিনশাচ এর আগে বলেছিলেন, কানাডায় অর্থনৈতিক শ্লথতার পূর্বাভাস দিচ্ছি আমরা। আগামী বছর প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে আসবে বলে আমাদের মনে হচ্ছে। আগামী বছর কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্বের হার বাড়লেও উভয় দেশের শ্রমবাজারই যথেষ্ট শক্তিশালী এবং বেকারত্বের হার আশা করি খুব খারাপের দিকে যাবে না।
অন্যান্য দেশের তুলনায় কানাডার ভালো করার একটি কারণ হিসেবে শক্তিশালী শ্রমবাজার ও বেকারত্বের নি¤œ হারের কথা বলেন কার্নি। তিনি বলেন, মহামারি-সংক্রান্ত বিভিন্ন আর্থিক সুবিধার কারণেই কানাডার কর্ম বাজারের এই শক্তিশালী অবস্থা। এসব আর্থিক সুবিধা কর্মীদের চাকরিতে সম্পৃক্ত থাকতে সহায়তা করেছে, যরা অর্থ দাঁড়িয়েছে অন্যান্য দেশের তুলনায় কম বেকারত্ব। জি৭ভুক্ত সব দেশ ও প্যাসিফির রিমের দেশগুলোর সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চুক্তিও কানাডাকে মন্দা থেকে দ্রুত বেরিয়ে আসতে সহায়তা করবে।