
ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট ছাড়া ২০২২ সাল চিন্তা করা প্রায় অসম্ভব। কর্মক্ষেত্র, স্কুল, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সবখানেই এখন ডিজিটাল যুগ, যা সাইবার নিরাপত্তার বিষয়টিকে সামনে নিয়ে এসেছে।
অক্টোবর ছিলো সাইবার সচেতনতার মাস। একজন বিশেষজ্ঞের বিশ্বাস, স্থানীয় সরকারগুলোর উচিত তাদের নিরাপত্তা বিশেষ করে গ্রামীণ অঞ্চলের নিরাপত্তা মূল্যায়নে সময় নেওয়া।
গ্রামীণ অঞ্চল হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই বড় কেন্দ্রগুলোর তুলনায় সেখানে সাইবার নিরাপত্তায় কম অর্থ ব্যয় করা হয়। একজন সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ বলেন, মিউনিসিপালিটির আকার ও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত এলাকাগুলোর মধ্যে এক্ষেত্রে বড় ধরনের ব্যবধান রয়েছে। ছোট ও বড় মিউনিসিপালিটিগুলোর মধ্যে সাইবার নিরাপত্তায় বিনিয়োগের সামর্থে ভারসাম্যহীনতা রয়েছে।
কানাডিয়ান সেন্টার ফর সাইবার সিকিউরিটির তথ্যমতে, এক-চতুর্থাংশ কানাডিয়ান ভাইরাস, ম্যালওয়্যার অথবা স্পাইওয়্যারে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছে।
আপনার হয়তো একটি কম্পিউটার রয়েছে, যেটা মেঝেতে পড়ে থাকে এবং যার মধ্যে বিপুল পরিমাণ পরিষেবা ও আর্থিক তথ্য রয়েছে। হঠাৎ দেখা গেল একটি মেইল আসল, ক্লিক করলেন এবং হঠাৎ দেখা গেল র্যানসামওয়্যার।
সাইবার হামলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মিউনিসিপালিটিগুলো, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা খাত। কারণ, যেসব সেবা তারা সরবরাহ করে থাকে সেগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে যেসব তথ্য তারা সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করে।
কেন এই বিনিয়োগ প্রয়োজন তার সঠিক উদাহরণ হচ্ছে ২০২১ সালের সাইবার হামলা। এর ফলে অ্যাপয়েন্টমেন্ট বাতিল হয়ে যায় এবং নিউফাউন্ডল্যান্ডের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। এছাড়া এই গ্রীষ্মে ওয়াটারলুতে সাইবার হামলায় বহু শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হয়ে যায়।
এ অবস্থায় গ্রামীণ এলাকায় সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে আরও আলোচনার প্রয়োজন । এই সমস্যা সমাধানের প্রথম পদক্ষেপ হলো অর্থকড়ি নিয়ে আলোচনা থেকে সরে আসা। সত্যিকার অর্থে যেটা প্রয়োজন তা হলো, মিউনিসিপালিটিগুলোর এ নিয়ে সংলাপে সম্পৃক্ত হওয়া এবং যৌথ সেবার চুক্তি কেমন হতে পারে তা নিয়ে আলোচনা শুরু করা।