বেসামরিক লোকদের লক্ষ্য করে একাধিক হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। রাজধানী কিয়েভসহ অন্যান্য নগরীতে চালানো এই হামলায় কমপক্ষে ১৪ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় ১০০ জন।
এ ধরনের হামলার কারণে ম্যানিটোবায় নবাগত ৬ হাজার ইউক্রেনীয় প্রতিদিনই স্বজন হারানোর শঙ্কার মধ্যে থাকছে। একজন ইউক্রেনিয়ান কানাডিয়ান বলেন, আমার দিন শুরু হয় রাগ, ক্ষোভ ও হতাশা দিয়ে। প্রতিদিনই ঘুম ভাঙে ভয়াবহ সব খবর শুনে। তার নয় বছর বয়সী আত্মীয় কিয়েভে থাকে।
হাজারো ইউক্রেনীয় রাশিয়ার হামলায় নিহত হয়েছে এবং রাজধানীতে প্রতিদিনই মিসাইল হামলা হচ্ছে। পাশাপাশি বেসামরিক এলাকা ও খেলার মাঠ উদ্দেশ্য করে ড্রোন হামলাও চালাচ্ছে রাশিয়া।
শেভচেঙ্কো পার্কে এমনটা ঘটেছে। সেখানে কোনো সামরিক স্থাপনা ছিল না। এটা সরাসরি বেসামরিক লোকদের উদ্দেশ্য করে হামলা। পুতিনের লক্ষ্য হচ্ছে যত বেশি সংখ্যায় বেসামরিক লোককে হত্যা করা যায়।
স্বজনদের নিয়ে শঙ্কায় অনেকেই। পরিবারের সদস্যরা বেঁচে আছে কিনা প্রত্যেকেই ভাইবার অথবা হোয়াটসআপে তা পরীক্ষা করে দেখেন প্রতিদিন। তিনি বলেন, হামলা অবশ্যই থামাতে হবে। পশ্চিমারা অব্যাহতভাবে সমর্থন দিয়ে গেলেই কেবল এটা সম্ভব।
বেসামরিক ইউক্রেনীয়দের ওপর অব্যাহত হামলায় আতঙ্কিত বলে এক টুইটে উল্লেখ করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। কানাডার প্রধানমন্ত্রী টেলিফোনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনেস্কির সঙ্গে কথাও বলেছেন। আলাপকালে জেলেনেস্কি রাশিয়ার মিসাইল হামলার বিরুদ্ধে জি৭ দেশগুলোর শক্তিশালী প্রতিক্রিয়ার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, বেসামরিক লোকজন ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো রক্ষায় ইউক্রেনের আকাশ সুরক্ষা প্রয়োজন।
আরেক টুইটে কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি বলেন, বেসামরিক লোকজনকে উদ্দেশ্য করে হামলা যুদ্ধাপরাধ। এজন্য আমরা রাশিয়াকে জবাবদিহিতার মধ্যে আনবো। কানাডা ইউক্রেনের জনগণের পাশে আছে।
এদিকে রাশিয়ার প্রেপসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনের সন্ত্রাসবাদী কর্মকা-ের জবাবে এই হামলা। মস্কো নিয়ন্ত্রিত ক্রাইমিয়া উপত্যকার সেতুতে হামলার কথা উল্লেখ করেন তিনি।