নতুন নার্সিং হোম আইনের ফলে অতি প্রয়োজনীয় হাসপাতালের শয্যা খালি হবে বলে মনে করছেন অন্টারিওর বেশ কিছু হাসপাতালের নেতারা। কারণ, আইনের আওতায় লং-টার্ম কেয়ার হোমের অপেক্ষায় থাকা ছাড়া পাওয়া রোগীদেরকে তাদের পছন্দের বাইরের লং-টার্ম কেয়ার হোমে পাঠানো যাবে।
আইনের ফলে হাসপাতালগুলো রোগীদের দক্ষিণ অন্টারিওতে ৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরে লং-টার্ম কেয়ার হোমে পাঠাতে পারবে। উত্তরাঞ্চলে পাঠানো যাবে সর্বোচ্চ ১৫০ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত। তবে এই পাঠানোটা হবে সাময়িকভিত্তিতে। তবে কেউ হাসপাতাল ছাড়তে অস্বীকৃতি জানালে ২০ নভেম্বর থেকে তাদের ওপর দৈনিক ৪০০ ডলার করে চার্জ আরোপ করতে পারবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতালের ওপর থেকে চাপ কমানোই বিল-৭ নামে আইনটির উদ্দেশ্য বলে প্রদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। কারণ, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে হাসপাতালের জরুরি বিভাগগুলো ঘণ্টার পর ঘণ্টা এমনকি দিনের পর দিন বন্ধ রাখতে হচ্ছে। এছাড়া মহামারির কারণে বিপুল সংখ্যক অস্ত্রপচার অনিস্পন্ন রয়ে গেছে।
অনেক হাসপাতালের জন্যই বিলটি কাজে আসবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এর ফলে হাসপাতালে শয্যাপ্রাপ্তি সহজ হবে এবং দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষমাণ অস্ত্রোপচারগুলোর তারিখ দিতে সক্ষম হবে। মহামারির সময় সবচেয়ে বড় সমস্যায় পড়তে হয় পূর্ব টরন্টোর হাসপাতালকে। তারপরও কর্মী সংকটের কথা বলে কোনো বিভাগ তারা বন্ধ করেনি বা কর্মঘণ্টা কমিয়ে আনেনি।
কেউ কেউ ভিন্নকথাও বলছেন। বলছেন, এর বিপুল প্রভাব পড়বে বলে আমার মনে হয় না। কারণ, এই অঞ্চলে লং-টার্ম কেয়ার হোমগুলোয় কোনো শয্যা খালি নেই। চারটি হাসপাতালের ১০ থেকে ২০ জন রোগী সপ্তাহশেষে নার্সিং হোমে শয্যার জন্য অপেক্ষায় থাকেন। ব্যবস্থাটির সক্ষমতা না থাকা তাদের দোষ নয়।