
টরন্টোর ব্যস্ত সাবওয়ে স্টেশনের ট্র্যাকে গত মাসে যে নারীকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়েছিল তিনি টিটিসির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তার অভিযোগ, প্ল্যাটফরম থেকে পড়ে যাওয়া ঠেকানোর মতো যথেষ্ট ব্যবস্থা ছিল না এবং তাকে উদ্ধারে সংশ্লিষ্ট অযথা বিলম্ব করেন।
শামসা আল-বালুশির যুক্তি, সাবওয়ে প্ল্যাটফরমে যথেষ্ট পরিমাণে নিরাপত্তা প্রটোকল অবলম্বন করেনি টিটিসি। এছাড়া আসন্ন ট্রেনটিকে সময়মতো থামার নির্দেশও দেয়নি।
এ ঘটনায় তিনি ১০ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন। সেই সঙ্গে আইনী খরচও দাবি করেছেন।
শাসার আইনজীবী বলেন, ধাক্কা দিয়ে ট্র্যাকের ওপর ফেলে দেওয়া ব্যক্তি টিটিসির নিয়োগপ্রাপ্ত বা টিটিসির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট না হলেও টিটিসি এ ঘটনার দায় এড়াতে পারে না।
ধাক্কা দেওয়া এডিথ ফ্রায়েন নামে ৪৫ বছর বয়সী টরন্টোর ওই নারীর বিরুদ্ধে এক কাউন্ট হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। ঘটনাটির ভিডিও সার্ভিল্যান্স ক্যামেরায় ধরা পড়ে এবং পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
প্রথম ব্যক্তি তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার আগ পর্যন্ত প্রায় ৩০ মিনিট আল-বালুশি প্ল্যাটফরমের নিচে আটকা ছিলেন। তার আইনজীবী বলেছেন, ঘটনার ব্যাপকতার নিরিখে এই পরিমাণ সময় নেওয়াকে অযৌক্তিক বলা যায়।
এ ঘটনায় আল-বালুশির পাঁজরের কয়েকটি হাড় ভেঙে যায় এবং ঘাড় ও পিঠে ব্যথা পান। ঘটনার তিন সপ্তাহ আগে তিনি তার চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে নতুন চাকরিতে যোগদান করেন। নতুন চাকরিতে তার প্রবেশনারি পিরিয়ড এখনও শেষ না হওয়ায় সেরে ওঠার সময় পর্যন্ত কোনো ধরনের সুবিধা প্রাপ্ত হবেন না তিনি।
তার কোনো ব্যক্তিগত গাড়ি নেই এবং যাতায়াতের জন্য তাকে টিটিসির ওপরই ভরসা করতে হচ্ছে। তার আইনজীবী বলেন, টিটিসির ওপর শামসার অব্যাহত নির্ভরশীলতা ওই ঘটনার পর তার মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতির জন্য দায়ী।
শামসার আনা অভিযোগ এখনও আদালতে পরীক্ষিত নয়। বৃহস্পতিবার এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলেও কোনো মমন্তব্য করতে রাজি হয়নি টিটিসি। টিটিসির মুখপাত্র সিপি২৪কে বলেন, চলমান আইনী বিষয় হওয়ায় তারা এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করবেন না।