কোভিড-১৯ মহামারির সময় খাবারজনিত অসুস্থতা নিয়ে কানাডিয়ান তরুণদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঘটনা বেড়ে গেছে। কানাডিয়ান ইনস্টিটিউট ফর হেলথ রিসার্চের নতুন উপাত্তে এ তথ্য উঠে এসেছে।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত উপাত্ত অনুযায়ী, ১০ থেকে ১৭ বছর বয়সী মেয়েদের মধ্যে খাবার খেয়ে অসুস্থ হওয়ার পর হাসপাতালে ভর্তির হার মহামারির আগের সময়ের তুলনায় ৬০ শতাংশ বেশি। ২০১৯-২০ সালে এ ধরনের অসুস্থতায় হাসপাতালে ভর্তির হার ছিল প্রতি এক লাখে ৫২ জন এবং ২০২০-২১ সালে প্রতি এক লাখে ৮২ জন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাবারজনিত খুব বেশি অসুস্থতা না হলে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন পড়ে না। সিএইচইওর সাইকিয়াট্রিক ডিরেক্টর ডা. লিয়ানা ইসারলিন বলেন, তরুণদের মধ্যে খাবারজনিত যে অসুস্থতা এটা তার অংশমাত্র। কারণ, এ সংক্রান্ত সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা অনেক। এছাড়া অনেক তরুণ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সুযোগই কখনও পাবেন না। যদিও খাবার গ্রহণজনিত বেশ ভালো রকম অসুস্থতায় ভুগছেন তারা।
২০২০-২১ সালে ৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী সব লিঙ্গের কানাডিয়ানের মধ্যে খাবার গ্রহণজনিত অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তির হার ছিল প্রতি লাখে ১০ জন। মহামারি শুরুর সময় এ হার ছিল প্রতি লাখে ১৫ জন।
ডিসচার্জ অ্যাবস্ট্রাক্ট ডেটাবেজ ও অন্টারিও মেন্টাল হেলথ রিপোর্টিং সিস্টেম থেকে এ উপাত্ত পাওয়া গেছে।
সিআইএইচআইয়ের হেলথ সিস্টেম অ্যানালিটিকসের পরিচালক ট্রেসি জনসন বলেন, খাবারজনিত অসুস্থতার সার্বিক পরিস্থিতি নিরূপন করা বেশ কঠিন। হাসপাতালের উপাত্তের দিকে তাকালে এর প্রবণতা সম্পর্কে ভালো একটি ধারণা পাওয়া যাবে।
এদিকে ২০২০-২১ সালে তরুণদের মধ্যে উদ্বেগজনিত অসুস্থতা কমে প্রতি লাখে ৩৫ জনে দাঁড়িয়েছে। ২০১৯-২০ সালে এ হার ছিল যেখানে প্রতি লাখে ৩৯ জন। তবে সাইকোটিক ডিসঅর্ডার পরিস্থিতি মোটামুটি অপরিবর্তিত আছে। ২০১৯-২০ সালে এ হার
প্রতি লাখে ৬৯ থাকলেও ২০২০-২১ সালে তা প্রতি লাখে ৭০ জনে উন্নীত হয়েছে।
এ সময়ে মাদক গ্রহণজনিত অসুস্থতাও হ্রাস পেয়েছে। ২০১৯-২০ সালে প্রতি লাখ তরুণের মধ্যে এ অসুস্থতায় ভোগার হার ছিল ৩৮৫ জনের। ২০২০-২১ সালে তা প্রতি লাখে ২৮০ জনে নেমে এসেছে।