দুই সপ্তাহ আগেও কন্যার প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন লুইস ফেলিপে। রাবেন আলিশা আলি-ও’ডিয়া ছিলেন একজন ডানপিটে তরুণী। কিন্তু আস্তে আস্তে নিজেকে দায়িত্বশীল নারীতে রূপান্তরিত করেন।
শিশুদের পিতা নাজির আলি এবং মা রাবেন আলি-ও’ডিয়া আগুনে পুড়ে মারা যান। বাঁচতে পারেনি তাদের তিন সন্তান আলিয়া, জেডেন ও লায়লাও।
ফেলিপের সাবেক স্ত্রী ও রাবেন আলিশা আলি ও’ডিয়ার মা বনি ও’ডিয়াও তাদের সঙ্গেই বাস করতেন। গুরুতর অবস্থায় তাকে একটি ট্রমা সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। বাড়ির নীচতলায় বসবাসকারী দুজন ভাড়াটিয়া অক্ষত অবস্থায় বের হতে সক্ষম হয়েছেন।
সেদিন যা ঘটেছিল তা মনে হলেই আর ঘুমাতে পারছেন না ফেলিপে। তিনি বলেন, কোনো বিপত্তি ছাড়াই তারা সেখানে ছয় বছর ধরে বাস করছিলো। গত বছরই তার মেয়ে ও জামাই বাড়ির মালিকের কাছ থেকে বাড়িটি কেনেন। বাড়িটি মেরামতের জন্য কিছু অর্থও দিয়েছিলেন তিনি।
আলি-ও’ডিয়া এবং আলি পুরো বাড়িটিই মেরামত করতে চেয়েছিলেন। এজন্য ছাদ, স্টোভ, লাইট ও রঙের জন্য একটি টিম নিয়োগ দিয়েছিলেন। দুই বছর আগে মেরামত কাজ শেষ হয়।
আগুনের কারণ, উৎপত্তি ও পারিপাশির্^কতা নিয়ে তদন্ত এখনও চলছে। ফেলিপে বলেন, সন্তানদের ভালো ভবিষ্যৎ দিতে দুজনেইে কঠোর পরিশ্রম করতেন। মাঝে মাঝেই সন্তানদেরকে তারা নায়াগ্রা জলপ্রপাতে নিয়ে যেতেন। সেখানে তারা ইন্ডোর ওয়াটারপার্ক ঘুরতে পছন্দ করতেন। সন্তানদের জন্য অনেক কাপড় ও খেলনা কিনে দিতেন। তাদের ফ্রিজ সব সময়ই খাবারে ভরা থাকতো, যাতে করে সন্তানরা ক্ষুধার কষ্ট নায় পায়। তারা খুবই ভালো জীবন কাটাতো। যা চাইতো তাই তার পেতো।